মো. রবিউল হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার:-
খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার অভিভাবকহীন স্কুল ছাত্রী(১৬)কে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করার অভিযোগে মোঃ রাসেল হোসেন(২২)কে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেছেন ধর্ষিতার বড় ভাই মোঃ মিজান উদ্দীন(২৬)। মামলার পর পুলিশ আসামী মোঃ রাসেল হোসেন(২২)কে আটক করেছে।
বাদীর অভিযোগ ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর পিতা-মাতাহীন এক ছাত্রী(১৯)কে উপজেলার তিনটহরী ইউপি’র শান্তিনগর গ্রামের যুবক মোঃ রাসেল হোসেন (২২),পিতা- মোঃ জামাল হোসেন,মাতা- রওশনারা বেগম বিয়ের প্রলোভনে দীর্ঘ ১ বছরের অধিক সময় ধরে প্রেম নিবেদন করে আসছিল। উভয়ে এক পর্যায়ে শারিরিক সর্ম্পককে
একাধিকবার লিপ্ত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহপ্রতিবার (২০মে) গভীর রাতে ওই ছাত্রীকে ফুসলিয়ে ঘরের বাহিরে নিয়ে আবারও ধর্ষক করেন প্রেমিক মোঃ রাসেল হোসেন। কিন্তু ঘটনাটি জনৈক ব্যক্তি দেখে ফেলায় ছেলে পালিয়ে যায়। পরে মেয়েকে প্রতিবেশিরা জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে ঘটনার বিবরণ দেয় । পরে বিষয়টি নিয়ে সামাজিকভাবে মিমাংসার চেষ্টা করে জনপ্রতিনিধিরা। অভিযুক্ত যুবক মোঃ রাসেল হোসেন ওই ছাত্রীর সাথে তার প্রেম নিবেদনের কথা স্বীকার করলেও ধর্ষণের কথা
অপকটে অস্বীকার করেন! ফলে অমিমাংসিত বিষয়টি পুলিশের নজরে আনেন ইউপি মেম্বার ঝুলন ভট্টাচায্য। পরে গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় ধর্ষিতার বড় ভাই মোঃ মিজান উদ্দীন ধর্ষিত বোনকে নিয়ে থানায় উপস্থিত হয়ে লিখিত আবেদন করলে পুলিশ নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় ধর্ষক মোঃ রাসেল হোসেন(২২)কে আসামী করে মামলা রুজু করেন। মামলা নং ৩,তারিখ- ২০.০৫.২০২১খ্রি.। পুলিশ আসামী মোঃ রাসেল হোসেন (২২)কে আটক দেখিয়েছে।
থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমির হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় ধর্ষিতার বড় ভাই বাদী হয়ে ধর্ষক মোঃ রাসেল হোসেন(২২)কে আসামী করে ধর্ষণ মামলা করায় পুলিশ আসামীকে আটক করেছে। আটক আসামীকে শুক্রবার সকালে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।