মোঃ সিরাজুল মনির, নিজস্ব প্রতিনিধি:
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ঘোষিত লকডাউন চলছে। সমস্ত বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন।গতবারের মতো এবারও ঈদুল ফিতরে চট্টগ্রামের সকল শিশুপার্ক থেকে শুরু করে সকল পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ রয়েছে।
প্রত্যেক পর্যটন কেন্দ্রে পুলিশের সতর্ক অবস্থান রয়েছে যাতে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে মানুষের ভিড় না জমে কিন্তু নগরীর অন্যান্য বিনোদন কেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকলেও একেবারে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে।
উন্মুক্ত এই বিনোদন কেন্দ্রে ঈদের নামাজের পর দুপুর গড়াতেই লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে। এখানেও পুলিশের সতর্ক অবস্থান এবং বাধাকে উপেক্ষা করে দুপুরের মধ্যে পুরো সৈকতের আশপাশ এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
বিপুল সংখ্যক মানুষের তুলনায় পুলিশের সংখ্যা ছিল নগণ্য। তাই পুলিশকে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়।
বিপুল সংখ্যক মানুষের তুলনায় পুলিশের সংখ্যা ছিল নগণ্য। তাই পুলিশকে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়।
সরেজমিনে আজ বিকাল সাড়ে ৪টায় পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, হাজার হাজার নানা শ্রেণী-পেশার মানুষের বাধভাঙা জোয়ার।পুলিশ মাইক দিয়ে পর্যটকদের বারবার ভিড় না করার অনুরোধ করলেও তাদের অনুরোধ উপেক্ষিত হয়।বিকাল হতে না হতেই পুরো পতেঙ্গা সমুদ্র এলাকায় ভ্রমণ পিপাসুদের ভিড় আরও বেড়ে যায়। ভিড় ঠেকাতে এক পর্যায়ে পুলিশ পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের মূল পয়েন্ট থেকে পর্যটকদের সরিয়ে দেয়।
পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মো. সাইফুদ্দিন জানান, লকডাউনের কারণে অনেকদিন ধরে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে দোকান, ভাসমান দোকানগুলো বন্ধ। আজকে ঈদের দিনে লোকজন আসবে অনেকদিন পর। তাই দোকান খোলার জন্য এলেও পুলিশ কাউকে বসতে দিচ্ছে না। দুপুরের পর থেকে মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। পুলিশ সমুদ্র সৈকতে প্রবেশ না করার জন্য মাইকিং করলে মানুষের ভিড় ঠেকাতে হিমশিম খেতে হয় তাদের। এখন সবাইকে সমুদ্র সৈকত থেকে পশ্চিম পাশে চর পাড়া এলাকায় সরিয়ে দেয়।
এদিকে কনকর্ড ফয়’স লেক, কাজীর দেউড়ি চট্টগ্রাম শিশুপার্ক, স্বাধীনতা শিশুপার্ক ঈদের দিনে লকডাউনের কারণে বন্ধ রয়েছে।
অপরদিকে, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের মতো নগরীর উন্মুক্ত বিনোদন কেন্দ্র সিআরবি এলাকায় দুপুর থেকে উঠতি তরুণ-তরুণীদের ভিড় বাড়তে থাকে।
নিচের সমতল এলাকা থেকে বিভিন্ন পাহাড়ের চূড়ায় অসংখ্য তরুণ-তরুণীর ভিড় লক্ষ্য করা যায়।
এখানেও পুলিশ মাইকিং করে সবাইকে সরিয়ে দিতে দেখা যায়।
নিচের সমতল এলাকা থেকে বিভিন্ন পাহাড়ের চূড়ায় অসংখ্য তরুণ-তরুণীর ভিড় লক্ষ্য করা যায়।
এখানেও পুলিশ মাইকিং করে সবাইকে সরিয়ে দিতে দেখা যায়।
সমুদ্র সৈকতে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য মোঃ মিজানুর রহমান জানায় স্থানীয় থানা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার ভ্রমণপিপাসুদের বাধা প্রদান করলেও তারা বাধা উপেক্ষা করে সমুদ্রসৈকতে নেমে পড়ে।