মো. রবিউল হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার:-
বৈশাখ মাস ঝড়-বৃষ্টির সাথে দিন কাটানোর কথা থাকলেও তীব্র খরায় কৃষির উপরে পড়ছে ব্যাপক প্রভাব। মাত্র ক’দিন পূর্বে গাছ ভরা গুটি গুটি আম দেখে ভালো ফলনের স্বপ্ন দেখেন চাষীরা। কিন্তু অনাবৃষ্টির কারণে পুড়ছে আম, লিচুসহ মৌসুমি ফল। খরতাপে গাছের তলায় মাটিতে ঝরে ঝরে পড়ছে আম। পানির স্তর নিচে নেমে গেছে ভারী বৃষ্ঠিপাতের অভাবে সব্বোর্চ তাপমাত্রায় মানিকছড়িতে চলছে হাহাকার।
জেলায় মৈাসুমি ফল আম চাষে অন্যতম ভূমিকা পালন করে থাকেন গুইমারা ও মানিকছড়ি উপজেলা। বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে চোখে পড়বে ছোট-বড় নানান জাতের আমের বাগান। উচু নিচু পাহাড় জুড়ে বানিজ্যিক ও শৌখিন বাগান চোখে পড়ার মতো। এসবের মধ্যে ক্ষীরশাপাতি, আম রুপালি, গোপালভোগ, বারিফোর, ন্যাংরা, হাড়িভাঙ্গা ও নাগফজলি আম উল্লেখযোগ্য। প্রকৃতিতে এখন ভরা বৈশাখ মাস। মেঘের ভেলায় কমবেশি ঝড়-বৃষ্টি হয়ে থাকে। কিন্তু বৃষ্টি না হওয়ায় বৈশাখের খরতাপে পুড়ছে গাছের আম পুরছে জনজীবন।
শুরুর দিকে এ অঞ্চলে আম গাছের ডালে মুকুলে ভরে যায়। এমনও দেখা গেছে মুকুলের ভারে অসংখ্য আমের ডাল নুঁয়ে পরেছে মাটিতে। অতঃপর গুটি গুটি আমে ছেয়ে যায় পুরো গাছ। তা দেখে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন এ এলাকার আম চাষীরা। সম্প্রতি আকাশের পানি না হওয়ায় ঝরে পড়তে শুরু করেছে গাছের আম। ঝরে পড়া আম দেখে বাগান মালিকদের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ।
আম চাষী জামাল আহম্মেদ জানান, ১৫ বিঘা জমিতে রয়েছে আমের বাগান। শুরুর দিকে মুকুল ভর্তি আমের বাগানে গুটি গুটি আমে ছেয়ে গেছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে আকাশে বৃষ্টি না হওয়ায় ঝরে পড়ছে আম। গুটি গুটি আমগুলো রক্ষার জন্য এই মুহূর্তে আকাশের পানি ভীষণ প্রয়োজন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ছোট বড়ো প্রায় দুই শতাধিক আমের বাগান রয়েছে। শুরুতে ভালো আবহাওয়া থাকায় আমের মুকুলে পোকা বা পচন ধরেনি। তাতে গাছ ভর্তি গুটি গুটি আম ধরেছিল। সম্প্রতি রুক্ষ আবহাওয়ার সাথে সাথে তাপদাহ বেড়ে যাওয়ায় গাছ থেকে ঝরে পড়ছে আম। আবহাওয়ার কারনে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে আমের সঠিক পরিচর্চার জন্য আমরা প্রতিদিন আম চাষীদের বিভিন্ন রকম পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। আবহাওয়া ভালো থাকলে চলতি মৌসুমে আম চাষে লাভবান হবে চাষীরা।