মো আরিফুল ইসলাম,রাঙ্গামাটি:
পার্বত্য রাঙ্গামাটি জেলার বরকল উপজেলাধীন ভুষনছড়া ইউনিয়নের বাসীন্দা মাহফুজ কতৃক তার প্রথম স্ত্রী গৃহবধূ আনজু বেগমকে প্রাননাশের অপচেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।আহত আনজু বেগম মারাত্নক যখম হওয়াতে বর্তমানে রাঙ্গামাটির সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানা যায়।
বিগত ২৬ শে এপ্রিল রোজ রবিবার রাত আনুমানিক ১১টা নাগাদ উক্ত ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা যায়।আহত আনজু বেগম মাহফুজের প্রথম পক্ষের স্ত্রী।আহত আনজু এরাবুনিয়ার ব্যাবসায়ী শামসুল হকের একমাত্র মেয়ে।
এ বিষয়ে আহত নারীর বড় ভাই মো ইয়ানুর জানায়,বিগত অনেক দিন ধরে মাহফুজ ও তার পরিবারের অন্যান্যরা মিলে আমার বোনকে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র করেছে।বিগত কয়েক বছর আগে আমার বোনের কোন রকম সম্মতি ছাড়া মাহফুজ দ্বীতিয় বিবাহ করে।এরপর থেকে মাহফুজ এবং তার পরিবার মিলে প্রতিনিয়ত আমার বোনকে নারকীয় যন্ত্রনা দিয়ে যাচ্ছে। গতকাল রাত ১১ টা নাগাদ মাহফুজ আমার বোনকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে বেদমভাবে মারতে শুরু করে ।এসময় আমার বোনের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এলে আমার বোনকে অচেতন অবস্থায় রাস্তায় ফেলে রেখে মাহফুজ সেখান থেকে সড়ে পড়ে।
পরবর্তিতে আমার মা-বাবা ঘটনাস্থলে গিয়ে আমার বোনকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকলে তাকে রাঙ্গামাটি সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়।
এ বিষয়ে ভুষনছড়া ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো রুহুল আমিন বলেন,উক্ত ঘটনাটি সম্পুর্ন সত্য।আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত মেয়েটিকে তার বাব মা সহ উদ্ধার করি।পরবর্তিতে তাকে রাঙ্গামাটি সদর হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
ভুষনছড়া ইউপি চেয়ারম্যান মো মামুনর রশীদ মামুন জানান,বিষয়টা ইতিমধ্যে আমি অবগত হয়েছি।বিষয়টা অত্যান্ত স্পর্শকাতর ও মর্মান্তিক। আহত ব্যাক্তিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাঙ্গামাটি সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছি।
আহত আনজু বেগম বলেন,”মাহফুজ বিগত ৫ বছর আগে দিত্বীয় বিয়ে করে।তারপর থেকেই আমার ওপড় অমানুষিক নির্যাতন করতে শুরু করে।বিগত দুবছর আগে তার বেদম মার ও অত্যাচারে আমি অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন আমার একটি বাচ্চা নষ্ট হয়ে যায়।এছাড়াও তার মারের কারনে আমার মেরুদণ্ডে হাড় ভেঙ্গে গেছে।মাহফুজ প্রতিনিয়ত আমার বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দেবার জন্য আমার ওপড় অত্যাচার করে।আমি তার অত্যাচারে দিশেহারা হয়ে এপর্যন্ত অনেকবার আমার বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে তাকে দিয়েছি।যা দিয়ে সে ট্রলার বানিয়েছে,দোকান ও মোটর সাইকেল কিনেছে।সে সবসময় গভীর রাতে আমাকে মারধর করে যাতে কেউ সহযোগীতা করতে না পারে।তার এসব কাজে তার পরিবারের অন্যান্যরাও জড়িত আছেন”
বিষয়টি নিয়ে এখন পর্যন্ত কোন মামলা করা হয়নি বলে জানিয়েছেন থানা কতৃপক্ষ।তবে উক্ত মহিলার চিকিৎসা শেষে তারা আইনের আশ্রয় যাবেন বলে জানা যায়।