সুশান্ত তঞ্চগ্যা;আলীকদম(বান্দরবান) প্রতিনিধিঃ
বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার ফসলি জমি ও পাহাড়ের মাটি কেটে নিচ্ছে তিন ইটভাটায়। বন ও পরিবেশ আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দিনের পর দিন অবৈধভাবে ফসলি জমি ও পাহাড় কাটলেও নেওয়া হচ্ছে না কোনো আইনি ব্যবস্থা। ইটভাটাগুলোর কারণে বিলুপ্ত হচ্ছে শত শত একর ফসলি জমি ও সবুজ পাহাড়।
এদিকে চারাবটলি তারাবুনিয়া এলাকায় এবিএম, আমতলী এলাকায় ইউবিএম, আলীবাজার এলাকায় এফবিএম-এ তিন ইটভাটা আশপাশের ৩-৪ কিলোমিটার এলাকায় নির্বিচারে পাহাড় ও জমি কাটাচ্ছে, ফলে ফসলি জমিগুলো ডোবায় পরিণত হয়েছে। এসব এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এক্সকেভেটর (ভ্যাকু) দিয়ে মাটি কেটে ডাম্পার ট্রাক দিয়ে ইটভাটায় নিয়ে যাচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডাম্পার চালক বলেন, এবিএমের ম্যানেজার আব্দুল কাদেরের নির্দেশে মাটি কাটছে, মাটিগুলো এবিএম ইটভাটায় সরবরাহ করা হচ্ছে।
কয়েকজন স্থানীয় ব্যাক্তি গিয়াস উদ্দিন, গফুর আহম্মেদ বলেন, দিনে সীমিত হলেও রাতে মাটি কাটা ও পরিবহন বেপরোয়া হয়ে যায়। ইট ও মাটির গাড়ি চলাচলের ফলে সড়কগুলো দিয়ে হেঁটে যাওয়াও দুস্কর। বক্তব্য নেওয়ার জন্য ইউবিএমের মালিক জামাল উদ্দিনকে পাওয়া যায়নি।
তারাবুনিয়া এলাকার এবিএমের ব্যবস্থাপক আব্দুল কাদের বলেন, জমির মালিক বিক্রি করেছে, আমরা কিনেছি। জমির মালিক মাটি কাটার অনুমতি দিয়েছে। মালিকানা জমির মাটি কাটতে অনুমতি লাগে কিনা জানা নেই।
জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শ্রীরূপ মজুমদার জানান, লকডাউন শেষে আলীকদমের ইটভাটাগুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হবে। পাহাড়ে ইটভাটার অনুমতির সুযোগ নেই। আলীকদমের ইটভাটাগুলো অবৈধভাবে চলছে।
আলীকদম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সায়েদ ইকবাল জানান, মাটি কাটার অভিযোগ পেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা ও মাটি কাটা বন্ধ করা হচ্ছে। আগামীতেও করা হবে। সবাই সহযোগিতা করলে পাহাড় ও ফসলি জমি কাটা বন্ধ করা সহজ হবে।