গোলামুর রহমান,লংগদু প্রতিনিধি:
পার্বত্য অঞ্চলে প্রায় অনেকেরই বিভিন্ন ফলজ বাগান করে সফলতার রেকর্ড রয়েছে। নিজেদের আর্থিকভাবে ও মান উন্নয়নে সফলতা পেয়েছেন অনেক কৃষক। যার ধারাবাহিতায় লংগদুর ভাসান্যদম ইউপির ইসমাইল গড়ে তুলেছিলেন একটি স্বপ্নের ফলজ বাগান। কিন্তু স্বপ্ন যেনো স্বপ্নই রয়ে গেলো।
রবিবার(২৫এপ্রিল), বাগান মালিক ইসমাইল হোসেন অভিযোগে জানান, লংগদু উপজেলার ভাসান্যদম ইউনিয়নের ১০নং রাঙ্গাপানিছড়া এলাকায় রেকর্ড ভুক্ত নিজস্ব এক একর জায়গাতে মিশ্র ফলজ বাগান গড়ে তুলার উদ্দেশ্যে ৩ শত মালটা, শতাধিক আমলকী ও লিচু গাছের চারা লাগাই। গত দু’বছর যাবৎ ভালো ফলন আসছিলো গাছে। যা আমার স্বপ্নের বাগানে রুপান্তর হতো। কিন্তু আমার এস্বপ্নকে আগুনে পুড়ে ছাই করে দিয়েছে একই এলাকার প্রতিবেশি শামসুল হকের ও লোকজনের দেয়া আগুনে।
তিনি অভিযোগে আরো জানান, গত ১১ এপ্রিল আমার পাশবর্তী এক কৃষক দুপুরে হঠাৎ আমার বাগানে দাউ দাউ করে আগুন জলতে দেখে তিনি আমাকে মোবাইল ফোনে জানালে তখন আমি দৌড়ে বাগানে এসে দেখি আমার পুরো বাগান আগুনে পুঁড়ে গেছে। বাগানের মালিক ইসমাইল হোসেন আরো বলেন, এবিষয় আমি লংগদু থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করিছি। আমি চাই তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠ বিচার হোক। আমার বাগানের বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ছয় লক্ষ টাকার বেশি হবে। আমার ইউনিয়নে আমি প্রথম মাল্টা চাষে আগ্রহী হই। এখন আমি পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্থ।
এদিকে একই এলাকার বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল মোতালেব জানান, আমি দুজন ব্যক্তিকে বাগানে আগুন লাগাতে দেখেছি। তখন তাদেরকে বার বার আগুন নিবাতে বলি। তা না হলে বাগান পুঁড়ে যাবে। কিন্তু তারা চুপচাপ করে চলে যায়। পরে আমি বাগানের মালিককে মোবাইল করে ঘটনা বলি। বাগান মালিক আসতে আসতে বাগান পুঁড়ে গেছে।
অপর দিকে অভিযুক্ত শামসুল হকের কাছে এব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ইচ্ছে করে ইসমাইলের বাগানে কোন আগুন দেইনি। এটা বাতাসের কারণে তার বাগানে আগুন লেগে গেছে। আমার ভাগিনা আমার বাগান পরিস্কার করার জন্য আগুন দিয়েছিলো। কিন্ত বাতাসের কারণে পাশের বাগানেও আগুন লেগে যায়। আমরা চেষ্টা করেও আগুন নিবাতে পারিনি।
লংগদু থানায় যোগাযোগ করা হলে থানার অফিসার ইনচার্জ আরিফুল আমিন জানান, রাঙ্গাপানিছড়া এলাকায় একটি ফলজ বাগানে আগুন দিয়ে পুঁড়ে দেওয়ার ঘটনার অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থল তদন্ত করা হয়েছে। এব্যাপারে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।