ইউনুছ আরফিন, বাঘাইছড়ি প্রতিনিধিঃ
রাঙ্গামাটির জেলার সাথে যাতায়াতে দুর্ভোগ নেমে এসেছে বাঘাইছড়ি এলাকাবাসীর। রাঙ্গামাটি জেলায় যাতায়াত করার জন্য যদিও সড়ক ও নৌপথ রয়েছে, পরিতাপের বিষয় হলো সিজন ভিত্তিক পরিবহন সেবা থাকে যেকোনো এক পথে। বর্ষা মৌসুমে কাপ্তাই হ্রদের যৌবনা স্রোতে পাল উড়িয়ে রাঙ্গামাটি টু বাঘাইছড়ি যাত্রী পারাপারে বদ্ধপরিকর ভূমিকা রাখে লঞ্চ মালিক সমিতি।
কিন্তু দেখা যায় চৈত্রের খরতাপে কাচালং নদী শুকিয়ে যাওয়ার কারণে লঞ্চ সেবাটি বলবৎ রাখা সম্ভব হয়ে ওঠে না। গত মাসের শুরু’র দিকে থেকেই লঞ্চ মারিশ্যা লঞ্চ ঘাট থেকে ধীরে ধীরে নিচু এলাকা আমতলী, দুরছড়ি, মাহিল্যা, পর্যায় ক্রমে মাইনীমুখ ঘাটে ভীড়ে দেখা যায় রাঙ্গামাটি থেকে লঞ্চে করে আসা যাত্রীগণ মাইনী নেমে বোট দিয়ে দুরছড়ি আসে,দুরছড়ি থেকে মোটরসাইকেল যোগে মারিশ্যা আসে। দীর্ঘ ১৪৫কি:মি: এর পথ পাড়ি দিতে অধিক সময় ও অতিরিক্ত টাকা গুণতে হয় যাত্রীদের।
অপর দিকে আজ অবধি সড়ক পথে চালু হয়নি বাস সেবা। সব মিলিয়ে চরম ভোগান্তিতে বাঘাইছড়ি বাসী।
এ নিয়ে খাগড়াছড়ি বাস মালিক সমিতির সদস্য দীলিপ বাবু’র কাছে বাস চালু করার কোনো পরিকল্পনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাঘাইছড়ি টু রাঙ্গামাটি যাতায়াতে পর্যাপ্ত বাস যাত্রী না পাওয়ার কারণে অতীতে বাস মালিক সমিতির লোকসান হয়েছে।
তারপরেও বর্তমান সময়ে তবে বাস সেবাটির প্রয়োজন হয়ে পরেছে । তবে এখনো বাস মালিক সমিতির পক্ষ থেকে এমন কিছু আমাকে অবগত করা হয় নি। আর বিশেষ করে বাঘাইছড়ি-রাঙ্গামাটি পথে বাস সেবা চলুর কার্যকারি ভূমিকা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতার মাধ্যমেই সম্ভব হয়ে থাকে বলে জানিয়েছেন।
উক্ত ভোগান্তি থেকে উত্তরণের উপায় সম্পর্কে বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: শরিফুল ইসলাম এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি অতি গুরুত্বপূর্ণ- যা আমাদের নজরেও এসেছে, অতি শীগ্রই রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক কে অবগত করা হবে।