এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম রাঙ্গামাটি নিউজ.কম কে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার সংশ্লিষ্ট সবাইকে মানতে হবে। সার্কুলার জারি হওয়ার অর্থ হলো তা পালন করা অত্যাবশ্যকীয় হয়ে যায়। কেউ যদি তা না মানে এবং তার প্রমাণ বাংলাদেশ ব্যাংক পায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এখনো পর্যন্ত নির্দেশনা না মানা বিষয়ে বিকাশের হেড অব কমিউনিকেশন্স ও পিআর শামসুদ্দিন হায়দার ডালিম রাঙ্গামাটি নিউজ.কম কে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা মানার জন্য আমরা কাজ করছি। এখানে টেকনোলজিক্যাল ইন্টারভেনশনের বিষয় আছে। টেকনোলজি একটা প্রসেসে কাজ করে। আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত বিষয়টার সমাধান করা। খুব শিগগিরই, সম্ভবত আজকেই এটার সমাধান হয়ে যাবে। বাস্তবিকভাবে কোন কোম্পানিই এটা করতে পারেনি বলেও দাবি করেন তিনি।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশে গত সোমবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন শুরু হয়েছে। এ সময়ে আর্থিক লেনদেন ঠিক রাখতে এটিএম বুথ, এজেন্ট ব্যাংকিং, ইন্টারনেট, অ্যাপ ও ইউএসএসডি-ভিত্তিক সব লেনদেন নিরবচ্ছিন্ন রাখতে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একই সঙ্গে মোবাইল ব্যাংকিং (বিকাশ, নগদ, রকেট প্রভৃতি) এর সেন্ডমানি ফ্রি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় প্রতি মাসে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত সেন্ডমানিতে গ্রাহককে অতিরিক্ত কোনো চার্জ দিতে হবে না। অবশ্য একজন গ্রাহক আরেকজন গ্রাহককে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিনা খরচে সেন্ডমানি করতে পারবে। আর সেন্ড মানির মাসিক সীমা ৭৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ লাখ টাকা করা হয়েছে। তবে সেন্ডমানি ছাড়া ক্যাশ আউটসহ অন্য সেবায় চার্জ থাকছে আগের মতোই। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের গ্রাহকরা লকডাউন চলাকালে এ সুবিধা পাবেন।