বুধবার (৩১ মার্চ) অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মুখ্য মহানগর হাকিম মহিউদ্দিন মুরাদ শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
আদালত যাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন তারা হলেন মারুফুল হক (৪০), মো. ফিরোজ (৩৪), তারেক আজিজ (২৪), আবু বক্কর সিদ্দিক (৩৫), সাঈদ তানজিম মাহমুদ (২০), আব্দুর রহিম প্রকাশ, মিনার রহিম (২২), আলী আকবর হোসেন (১৯), লিটন (২২), হায়দার হোসেন (৪১), সাকিব হোসেন (১৯) ও কিং মোতালেব (৪২)।
রিমান্ড মঞ্জুর না করা বাকি ৪ নারী নেত্রী হলেন- আঁখি সুলতানা (৪২), দেওয়ান মাহমুদা আক্তার লিটা (৩৫), রিনা বেগম (৪০) ও ফাতিমা কাজল (৩৫)।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী শাহাবুদ্দিন আহমেদ বলেন, চাঁদা দাবি ও অপহরণের অভিযোগের মামলায় ডা. শাহাদাতের ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছিল। শুনানি শেষে আদালত তার রিমান্ড নামঞ্জুর করেছেন। এছাড়া সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ১৬ আসামিকে ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। শুনানি শেষে আদালত ১১ পুরুষ আসামিকে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর এবং ৫ নারী আসামির রিমান্ড নামঞ্জুর করেছেন।
তিনি আরও বলেন, আবেদনের প্রেক্ষিতে ডা. শাহাদাতকে ডিভিশন দিতে আদেশ দিয়েছেন আদালত। পরে সব আসামিকে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার বিকালে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ২০ জন আহত হন। পরে ঘটনাস্থল ও আশেপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ ১৬ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে। এরপর সন্ধ্যায় পাঁচলাইশ এলাকার বেসরকারি ট্রিটমেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে নিজ চেম্বার থেকে গ্রেপ্তার করা হয় শাহাদাত হোসেন ও তার সহকারী মারুফুল হককে। পরে বিএনপি নেত্রী লুসি খানের দায়ের করা এক কোটি টাকার চাঁদা দাবির মামলায় ডা. শাহাদাতকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এছাড়া সন্ত্রাসবিরোধী আইন এবং পুলিশ বক্সে হামলা ও ভাঙচুরের অন্য দুই মামলায়ও তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।