ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরকে কেন্দ্র করে নিয়ন্ত্রণে আছে রাজধানীর যান চলাচল। সকাল থেকে বন্ধ রাখা হয়েছে বিভিন্ন রুটের সব ধরনের গণপরিবহনও। এতে করে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ঘর থেকে বের হওয়া সাধারণ মানুষদের।
জানা গেছে, মোদির আগমনকে কেন্দ্র করে বিমানবন্দর সড়ক হয়ে চলাচলকারী অর্ধ-শতাধিক রুটের বাস বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে করে রাজধানীর উত্তরা, বিমানবন্দর, খিলক্ষেত, কুড়িল, প্রগতি সরণী, রামপুরা, মালিবাগসহ বিভিন্ন স্থানে যাত্রীদের দুর্ভোগে পড়তে হয়। যানচলাচল নিয়ন্ত্রণের প্রভাব পড়ে গোটা শহরেই।
রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে দেখে গেছে, বাস থামিয়ে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মেরুল-বাড্ডা ইউলুপের সামনে, শাহজাদপুর, নতুন বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে বাস থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হয়। অন্যান্য গণপরিবহনকেও থামিয়ে দিচ্ছে পুলিশ।
সদরঘাট থেকে বিমানবন্দরের দিকে যাচ্ছিলেন জমির হোসেন। জরুরি কাজ থাকার পরও তিনি উত্তরা যেতে পারেননি। তিনি বলেন, বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও বাস পাইনি। তাই পায়ে হেঁটেই চলাচল করতে হচ্ছে।
এদিকে ঢাকা মহানগর পুলিশ আগেই জানিয়েছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সফরের কারণে বিমানবন্দর সড়ক, বিজয় সরণি, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ, রাসেল স্কয়ার, ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়ক, মিরপুর রোড, কল্যাণপুর, গাবতলি হয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারের নবীনগর এলাকায় সড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও বন্ধ রাখা হবে।
মিরপুর-১০ নম্বরে শিকড় পরিবহনের চালক কামরুল বলেন, বিকালের পর বাস বের করবো। এখন বের হলে গাড়ি বন্ধ করে দেবে ট্র্যাফিক পুলিশ।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ থেকে জানানো হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আগত বিদেশি ভিভিআইপিদের গমনাগমনের জন্য আগামী ২৬ ও ২৭ মার্চ (শুক্র ও শনিবার) ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও প্রধান সড়কগুলোতে যানচলাচল নিয়ন্ত্রিত এবং কিছু কিছু সময়ের জন্য বন্ধ থাকবে। এ সাময়িক অসুবিধার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে।
এদিকে হেফাজতে ইসলামের ডাকে আগামী রবিবার সারাদেশে পালিত হবে সকাল সন্ধ্যা হরতাল। হরতালে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘঠে তার জন্য সারাদেশে পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।