মোঃ সিরাজুল মনির, চট্টগ্রাম ব্যুরো:
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে চট্টগ্রামে জনসমাগম রোধে কমিউনিটি সেন্টারগুলোতে সামাজিক ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠানসহ অন্যান্য অনুষ্ঠানে ১শ’ জনের অধিক সমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত প্রকাশ্য স্থানে সভা-সমাবেশ ও অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান আপাতত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (২১ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিত জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক সভায় এ নির্দেশনা দেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মমিনুর রহমান।
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে চট্টগ্রামসহ সারাদেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আবারও বেড়ে গেছে। সরকারের মন্ত্রী পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী করোনার ঝুঁকি মোকাবিলায় এখন থেকে ক্লাব, কমিউনিটি সেন্টার, কনভেনশন হল, হোটেল-রেস্টুরেন্টগুলোতে সামাজিক ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠানসহ অন্যান্য অনুষ্ঠানে ১০০ জনের অধিক সমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
‘সীমিত পরিসরে অনুষ্ঠান চলাকালে সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি ও কমপক্ষে ৩ ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এ ব্যাপারে কমিউনিটি সেন্টার ও হোটেল-রেস্টুরেন্ট মালিকদের কাছে চিঠি দেয়া হয়েছে। তবে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত প্রকাশ্য স্থানে সভা-সমাবেশ ওরশ, মিলাদ মাহফিল, মহোৎসব ও অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান আপাতত বন্ধ থাকবে। আদেশ অমান্য হলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনাসহ অতিথি নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৮৪, দণ্ডবিধি আইন, ১৮৬০ এবং সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ নিয়ন্ত্রণ ও নির্মুল আইন, ২০১৮ এর বিধানমতে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক। যোগ করেন মোহাম্মদ মমিনুর রহমান।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে মাস্ক পরিধানসহ শতভাগ স্বাস্থ্য নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সমুদ্র সৈকত, পার্ক, বিনোদন কেন্দ্র ও অন্যান্য দর্শনীয় স্থানে জেলার প্রশাসনের মেবাইল কোর্ট অভিযানের পাশাপাশি অভিযান চলাকালে মানুষের মাঝে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। আসন্ন পবিত্র মাহে রমজানকে সামনে রেখে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজার মনিটরিং জোরদার করা হচ্ছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এস এম জাকারিয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী সাব্বির ইকবাল, সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (উত্তর) মো. মশিউদ্দৌলা রেজা, জেলা আনসার কমান্ড্যান্ট বিকাশ চন্দ্র দাস, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মো. সাহাবউদ্দিন, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার শহীদুল হক চৌধুরী সৈয়দ।
উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম এহছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল (রাউজান), হোসাইন মো. আবু তৈয়ব (ফটিকছড়ি), স্বজন কুমার তালুকদার (রাঙ্গুনিয়া), এম এ মোতালেব (সাতকানিয়া), মো. রাশেদুল আলম চৌধুরী (হাটহাজারী), গালিব চৌধুরী (বাঁশখালী), ফারুক চৌধুরী (কর্ণফুলী), মো. জসীম উদ্দিন (মিরসরাই), উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন রায় (সীতাকুণ্ড), মোহাম্মদ রুহুল আমীন (হাটহাজারী), মোমেনা আক্তার (বাঁশখালী), শাহিনা সুলতানা (কর্ণফুলী), মাসুদুর রহমান (রাঙ্গুনিয়া), মিনহাজুর রহমান (মিরসরাই), সাহেদুল আরেফিন (ফটিকছড়ি), জোনায়েদ কবির সোহাগ (রাউজান), নাজমুন নাহার (বোয়ালখালী), ফয়সাল আহমেদ (পটিয়া), জোবায়ের হোসেন (আনোয়ারা), ইমতিয়াজ হোসেন (চন্দনাইশ), আহসান হাবিব জিতু (লোহাগাড়া), মো. আবদুস সালাম চৌধুরী (সাতকানিয়া), সাতকানিয়া পৌর মেয়র মোহাম্মদ জোবায়ের।
পটিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জি এম মোঃ আবু বকর সিদ্দীকি, রাউজান পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জি এম এস এম আবুল কালাম আজাদ, জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল আলম মজুমদার, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক ডা. উ খ্যে উইন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তয়ন কুমার ত্রিপুরা, গণপূর্ত বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী রাহুল গুহ, গণপূর্ত বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী অভিজিৎ চৌধুরী, স্থানীয় সরকার প্রকৌশলের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন তালুকদার, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন রায়,সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মির্জা ফজলুল কাদের, সওজ’র নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা, জেলা মহিলা বিষয়ক উপ-পরিচালক মাধবী বড়ুয়া, সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, জেলা কালচারাল অফিসার মোসলেম উদ্দিন সিকদার, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা নূরুল আবছার ভূঁঞা প্রমুখ।