মোঃ সিরাজুল মনির
ব্যুরো প্রধান চট্টগ্রাম।
আগামী বছরের মধ্য ফেব্রুয়ারিতে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে চট্টগ্রামে। এমন আশার কথা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম স্বাস্থ্য বিভাগ। ইতোমধ্যে প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ টিকা পেতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে একটি চাহিদাপত্রও পাঠিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। চাহিদা মোতাবেক ২ লাখ ৭১ হাজার ৭৮৮ জনের শরীরে দুই ডোজ করে এ টিকা দেয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য বিভাগ। অঞ্চল ভিত্তিক ঝুকি বিবেচনা করে এ চাহিদা প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানানো হয়।স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে জানানো হয়, সবকিছু ঠিক থাকলে মধ্য ফেব্রুয়ারির আগেই জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের স্টোরে প্রবেশ করবে এ টিকা। যা প্রাথমিক পর্যায়ে সাত ক্যাটাগরির ব্যক্তিদের মাঝে দেয়া হবে। যদিও পরবর্তীতে ধাপে ধাপে সাধারণ মানুষদেরও টিকার আওতায় আনা হবে বলে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ‘স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে ভ্যাকসিনের চাহিদা চাওয়া হয়, এর প্রেক্ষিতে ২ লাখ ৭১ হাজার ৭৮৮ জনের একটি চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। যাতে প্রত্যেকেই দুই ডোজ করে টিকা পাবে। প্রাথমিক পর্যায়ে সম্মুখ যোদ্ধাদের টিকা দেয়া হবে। ’
প্রসঙ্গতঃ প্রতিবেশী ভারতের কাছ থেকে ৩ কোটি কোভিড-১৯ টিকা কিনতে বাংলাদেশ সরকার গত ৫ নভেম্বর চুক্তি করে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ব্রিটিশ ওষুধ সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকার বানানো টিকা বানাচ্ছে ভারতের পুনের সিরাম ইনস্টিটিউট। যা এ বছরের শেষদিকে বাজারে আসার সম্ভাবনা আছে। ভারতে ট্রায়ালের পর প্রথম দফায় তাদের কাছ থেকে ৩ কোটি টিকা কিনবে বাংলাদেশ সরকার।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুসারে, চুক্তি সম্পাদনের পর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে নভেম্বরের মাঝামাঝিতে একটি চাহিদাপত্র চায়। যাতে সাত ক্যাটাগরি ব্যক্তিদের প্রাধান্য দিয়ে দ্রুত চাহিদাপত্র পাঠাতে বলা হয়। এরমধ্যেই গত পহেলা ডিসেম্বর সাত ক্যাটাগরি ব্যক্তিদের জন্য ২ লাখ ৭১ হাজার ৭৮৮ জনের জন্য দুই ডোজ করে টিকা চেয়ে চাহিদাপত্র পাঠান জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি।
সাত ক্যাটাগরির ব্যক্তিরা হলেন : স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে জানানো হয়, করোনার টিকা প্রয়োগের প্রথম পর্যায়ে সম্মুখসারির যোদ্ধাদের প্রাধান্য দেয়া হবে। যদিও আগে থেকেই পর্যায়ক্রমে সবাইকে দেয়ার কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তবে প্রথম পর্যায়ে যাদের টিকা দেয়া হবে তারা হলেন, সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক- নার্সসহ সকল কর্মচারী, বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্সসহ সকল কর্মচারী, সরকারি-বেসরকারি স্কুল কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকা, সকল নিরাপত্তা বাহিনী (সস্ত্রবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, আনসার), গণমাধ্যমকর্মী, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের কর্মরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী।