চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন হাট-বাজার ইজারাদারদের ইজারার বকেয়া টাকা দ্রুত পরিশোধ করার আহবান জানিয়েছেন। কর্পোরেশনের সেবামূলক প্রতিষ্ঠানকে ময়লা-আবর্জনা পরিস্কার, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন ও সড়ক আলোকায়নের মত নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত অর্থের প্রয়োজন। নগরীতে জনসংখ্যার চাপ ও নাগরিক সেবার পরিধি বাড়লেও কর্পোরেশনের অর্থসংস্থান বাড়েনি।
কর্পোরেশনের আয়ের মূল উৎস হলো পৌরকর। পাশাপাশি সরকারি বরাদ্দের যে টাকা পাওয়া যায়, তা অপ্রতুল বলা যায়। তাই নগরীকে পরিচ্ছন্ন, মানবিক ও পরিবেশবান্ধব করে গড়ে তুলতে সব মহলের সহযোগিতা প্রয়োজন। তিনি বৃহস্পতিবার টাইগারপাসস্থ চসিক কনফারেন্স হলে হাট-বাজার ইজারাদারদের সাথে মতবিনিময়কালে একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময়কালে হাট-বাজার ইজারাদাররা তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা প্রশাসকের কাছে উপস্থাপন করেন। এ সময় তারা নগরীর ১২ নম্বর ও অভয়মিত্র ঘাট চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বন্ধ করে দিচ্ছে বলে প্রশাসককে অভিযোগ জানালে, তিনি তা চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করে প্রকৃত অবসন্থা জেনে ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দেন।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেন, কোভিড-১৯ এর কারণে পুরো দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা খারপ হয়ে পড়ে। কর্পোরেশনেও এ কারণে আর্থিক সংকট তৈরি হয়েছে। তিনি হাট-বাজার ইজারাদারদের উদ্দেশ্যে করে বলেন, আপনারা ব্যবসায়ী হিসেবে সরকারি প্রণোদনাসহ বিভিন্ন সুবিধা পাচ্ছেন।
কিন্তু কর্পোরেশন তেমন কোন সুবিধা না পেলেও কোন নাগরিক সেবা প্রদান বন্ধ করেনি। ফলে আর্থিক ব্যয় তো থেমে নেই। প্রধান নির্বাহী বলেন, হাট-বাজার ইজারা ও পরিচালনার একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা আছে। অতীতে যেমন ১৪২৬ বঙ্গাব্দের হাট-বাজার ইজারার ক্ষেত্রে তা অনুসরণ করা হয়নি। এই আর্থিক বছরের হাট-বাজারের ইজারার এখনো টাকা অনেক বকেয়া। আবার অনেক ইজারাদার ইজারার টাকা দিচ্ছেন কিস্তিতে, তাও বকেয়া আছে।
এ সময় ইজারাদারদের অনেকে তাদের ইজারা নেয়া ঘাট হাট-বাজার সংস্কারের জন্য প্রশাসককে অনুরোধ করলে, এর জবাবে প্রশাসক বলেন, আপনারা আপনাদের কাছে কর্পোরেশনের যে পাওনা আছে তা পরিশোধ করুন। আমারও ইজারাকৃত হাট-বাজার আপনাদের টাকায় সংস্কার করে দেব।
প্রশাসক ইজারারদের ইজারার ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা অনুসরণ করা হবে বলে আশ্বস্থ করে বলেন, এতে আপনাদের আর্থিক ক্ষতি হওয়ার কোন সম্ভাবনা নাই। এ ব্যাপারে সব সময় আমি আপনাদের পাশে থাকবো।