মোঃ সিরাজুল মনির চট্টগ্রাম ব্যুরো।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর উপর ১৯৩০ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ সরকারের শাসনামলে নির্মিত কালুরঘাট রেলওয়ে সেতুর উভয় প্রান্তে বেপরোয়া যানবাহন নিয়ন্ত্রণ না থাকার কারণে যে কোন ভয়াবহ দুঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। এতে প্রাণহানির সম্ভাবনা খুব বেশি।
সরেজমিনে সেতুর পূর্ব পশ্চিম প্রান্ত এলাকা ঘুরে দেখা যায় সকাল বিকাল ট্রেন আসা যাওয়ার সময় সেতুর উপরিভাগে অনেক মোটরসাইকেল দাড়িয়ে থাকে।সেতুর দুই প্রান্তে গেইটম্যান থাকলে ট্রেন আসা যাওয়ার সময় তারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয় বলে পথচারীরা জানান। জীবনের ঝুঁকি সেতুর উপরে দাড়িয়ে থাকে মোটরসাইকেল চালকরা। একটু তাড়াতাড়ি আগে পার হওয়ার জন্য তারা উপরে চলে আসে বলে জানান গেইটম্যান নুরুল আলম।
অপরদিকে ইজারাদারদের পক্ষ থেকে গেইটম্যান রয়েছে আলাদা করে তার কাজ হলো একদিক থেকে যানবাহন পার হয়ে গেলে অন্যদিকের যানবাহন ছাড়া। কিন্তু সেও দায়িত্ব অবহেলা করে মোটরসাইকেল সহ অন্যান্য যানবাহন উপরে তুলে দেয়। এতে যেমন জীবনের ঝুঁকি রয়েছে তেমন সেতু এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয় প্রায় সময়। চালকেরা গেইটম্যানদের বাধা উপেক্ষা করে উপরে উঠে যায় বলে জানান সেতুর পশ্চিম প্রান্তের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আজম। তিনি বলেন গেইটম্যান ট্রেন আসা যাওয়ার সময় বাশ ফেলে বাধা সৃষ্টি করলেও চালকেরা তা মানেনা। অবশ্যই কঠোরভাবে বাধা দিলে চালকরা তা মানতে বাধ্য বলেও তিনি বলেন।
মোটরসাইকেল চালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, একটু আগে পার হওয়ার জন্য মৃত্যু ঝুঁকি জেনেও সেতুর উপরে সিগন্যালের বাইরে অবস্থান করে সে। তবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এবং ইজারাদার থেকে কঠোরভাবে এর ব্যবস্হা নিলে কোন চালক উপরে উঠতে পারবেনা বলেও তিনি জানান।
অসাবধানতাবশত এ সেতুর উপর দিয়ে সিগন্যাল না মেনে পারাপার হওয়ার কারণে অনেক দুর্ঘটনা এ সেতুতে ঘটেছে এবং এতে প্রাণহানি হতে ও দেখা গেছে। বিশেষ করে সেতু দিয়ে ট্রেন আসা যাওয়ার সময় কঠিন ভাবে গেইট বন্ধ রাখলে দুর্ঘটনা ঘটবেনা বলে সেতু ব্যবহারকারী জানান।