সরওয়ার কামাল,মহেশখালী, কক্সবাজার:
মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ীতে এসিএফ (ACF) এনজিও অধীনে আলী কনস্ট্রাকশন নামের এক ঠিকাদারী প্রতিষ্টানে কাজ করার সময় ৯ রোহিঙ্গাকে স্থানীয় গ্রাম পুলিশের সহয়তায় আটক করেছে মাতারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহ ।
১৩ই ফেব্রুয়ারি (শনিবার) বিকালে মাতারবাড়ী নতুন বাজার ও বাংলাবাজার এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসা হয় । আটককৃতরা হলেন, নজিম উল্লাহ(২৩) পিতা হামিদ হোসেন, বালু খালী ক্যাম্প ৮ই , লাল মোহাম্মদ (২৭)পিতা আবুল হোসেন, বালুখালী ৮ই, নুর আলম(৩০) পিতা আনোয়ার, বালুখালী ৯ এফ টু, এশাদুল্লাহ (২৮) পিতা আব্দুল করিম ক্যাম্প ৯, বালুখালী, কেফায়েত উল্লাহ(৩০) পিতা আব্দুল আমিন, ক্যাম্প ৩ জি ১৬ কুতুপালন, খায়রুল আমিন(২৫) পিতা খালামিয়া, বালুখালী ৯ এফ ২, জিয়াবুল হোসেন(১৬) পিতা, লালু মিয়া,
জফুর উল্লাহ(২১)হামিদ হোসেন,হামিদ হোসেন(৫৫) পিতা অলী বকসু, এইচ বল্ক ।
অনুসন্ধানে জানা যায়, আর্ন্তজাতিক এনজিও সংস্থা এসিএফ (ACF) এর,ওয়াশ প্রজেক্টে প্রায় দুই মাস ধরে কাজ গোপনে চালিয়ে যাচ্ছে । এদিকে মেসার্স আলী কনস্ট্রাকশন এর মোহাম্মদ আলী জানান , এসিএফ এর ম্যানেজার লজষ্টিক দিদারুল ইসলাম রাকিবুল আরেফিন সহ কয়েকজনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা কিছু জানেন না বলে একজন আরেকজনকে দোষারোপ করে দায় এড়াতে থাকেন । এবিষয়ে মাতারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাষ্টার মোহাম্মদ উল্লাহ জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে চৌকিদার ও স্থানীয় সংবাদকর্মী রকিয়ত ও আবু বক্কর ছিদ্দিক এর সহযোগিতায় তাদেরকে আটক করতে সক্ষম হয় ।
এছাড়াও এসিএফ কর্মরত ৪ জন বাঙ্গালি কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় পাঠানো হয়েছে । আটক রোহিঙ্গাকে মাতারবাড়ী পুলিশ ক্যাম্পে হস্তান্তর করার প্রস্তুতি চলছে । মহেশখালী ইউএনও মাহফুজুর রহমান বলেন, আটক ৯ রোহিঙ্গাকে পুলিশকে হ্যান্ডওভার করার জন্য মাতারবাড়ী চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এর পিছনে কে বা কারা জড়িত সেই বিষয়ে খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি।