হাবীবুল্লাহ মিসবাহ, রাজস্থলীঃ
রাঙ্গামাটির রাজস্থলীতে উপজেলা ছাত্রদলের উদ্যোগে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) বেলা ১১ টায় ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে রাজস্থলী উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয় থেকে উপজেলার তিন ইউনিয়নের ছাত্রদলের নেতাকর্মী এবং বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে এক বর্ণাঢ্য র্যালী অনুষ্ঠিত হয়।
র্যালীটি উপজেলা বাসস্টেশন থেকে শুরু হয়ে রাজস্থলী বাজার, হ্নাড়ামুখ পাড়া এবং উপজেলা চত্ত্বর হয়ে উপজেলা গণমিলানায়তনে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
রাজস্থলী উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব সাজন তঞ্চঙ্গ্যার উপস্থাপনায় এবং আহ্বায়ক নাইমুল ইসলাম রনির সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজস্থলী উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাষ্টার খলিলুর রহমান।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মংঞোই মারমা, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ বাবলু মিয়া, সিনিয়র সহ সভাপতি আবুল হাশেম, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক মিলন, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শামীম আহমেদ রুবেল, যুবদলের সদস্য সচিব উজ্জ্বল কান্তি তঞ্চঙ্গ্যা, উপজেলা বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক আজিজুর রহমান রুবেল, বিএনপির সদস্য জিকু দে, উপজেলা মহিলা দলের সিনিয়র সহ সভাপতি শিল্পী বেগম, ছাত্রদলের যুগ্ন আহ্বায়ক মোঃ রাজু আহমেদসহ ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ এবং উপজেলা বিএনপির ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বক্তারা বলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়ন এবং তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দিতে ছাত্রদলকে শক্তিশালি ভুমিকা পালন করতে হবে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল বাংলাদেশের শিক্ষা, ঐক্য এবং প্রগতি নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ছাত্রদলকে একটি আদর্শিক সংগঠন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য ছাত্রদলের সকল নেতাকর্মীকে আদর্শিক হতে হবে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলে কোন চাঁদাবাজের জায়গা হবে না। চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি এবং অন্যায় কাজে যেনো ছাত্রদলের কোন নেতাকর্মী জড়িত হতে না পারে সেজন্য সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে দেশের কল্যানে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
এরআগে জাতীয় এবং দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং জুলাই আগস্টে গণঅভ্যুত্থানে নিহত শহিদ ও আহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।