মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বোয়ালখালীর শ্রীপুর খরনদ্বীপ ইউনিয়নে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র সংস্কারে ৩১ দফার বাস্তবায়নে ইউনিয়নের ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন কর্তৃক আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি নেতা আজিজুল হক চেয়ারম্যান।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবদলের প্রচার সম্পাদক শহীদুল আলম শহীদের সঞ্চালনায় বিএনপি নেতা আজিমুল করের সভাপতিত্বে ইউনিয়নের জৈষ্ঠ্যপুরা গুচ্ছ গ্রামে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন বোয়ালখালী বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক নুরুন্নবী চৌধুরী,বিশেষ বক্তা ছিলেন পৌর বিএনপির আহবায়ক শহীদুল্লাহ চৌধুরী, বিশেষ বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আজগর,বিশেষ বক্তা ছিলেন উপজেলা বিএনপি নেতা আবুল হাশেম,বিএনপি নেতা জাকির হোসেন,ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আজাদ খাঁন, জেলা যুবদলের সহ সভাপতি জসিম উদ্দিন মেম্বার।
প্রধান অতিথির বক্তব্য আজিজুল হক চেয়ারম্যান বলেন,৫ আগস্টের ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হলেও তাদের প্রেতাত্মারা এখনও ঘুরে বেড়াচ্ছে।তাদের হাতে নিরীহ হাজারো মুক্তিকামী ছাত্র জনতার রক্ত লেগে আছে।স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার ভারতের আজ্ঞাবহ হয়ে ১৭ বছর গুম,খুন, অপহরণের মাধ্যমে সারা বাংলাদেশকে একটি ত্রাস ও আতংকের জনপদে রুপান্তর করেছিল।তার থেকে কোন ব্যতিক্রম ছিলনা বলে জানান তিনি বোয়ালখালীর শ্রীপুর খরনদ্বীপ ইউনিয়ন।
দক্ষিণ জেলা বিএনপি নেতা আজিজুল হক আরও বলেন, ২০০৮ সালে স্বৈরাচার সরকারের পালিয়ে যাওয়া মন্ত্রী হাসান মাহমুদকে নির্বাচিত করতেই অত্র ইউনিয়নটি বোয়ালখালী সংসদীয় আসন হতে বাদ দিয়ে রাঙ্গুনিয়া আসনের সাথে যুক্ত করে।নির্বাচিত হয়েই হাসান মাহমুদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কতিপয় চাঁদাবাজকে সিন্ডিকেট বানিয়ে পাহাড়কে মাদক সরবরাহের স্বর্গরাজ্য পরিণত করেছিল।তারা জৈষ্ঠ্যপুরায় ওয়াসা প্রজেক্ট হতে শতকোটি লুটপাট করেছে।মন্ত্রীর পরিবার এই লুটপাটে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিল বলেও জানান এসময় তিনি।
তিনি এসময় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আওয়ামী লীগের দুঃশাসনকালে লুটপাটের মত কেউ যদি ইউনিয়ন তথা বোয়ালখালীতে চাঁদাবাজি,লুটপাট ও অন্যায় কর্মকাণ্ডে জড়িত হয় তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন বিএনপি নেতা হাসান চৌধুরী মেম্বার,ইমরান আলী শাহরুখ,যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ আলমগীর,ত্রিদিপ চৌধুরী সুবল,তড়িৎ বড়ুয়া, বাদল চৌধুরী,আবু আক্তার,সাইমুল করিম সুমন, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক মোহাম্মদ লোকমান,উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আতিকুল্লাহ অনু,এমদাদুল হক চৌধুরী লিটু,মনিরুল ইসলাম আজাদ,জানে আলম নান্নু, নজরুল ইসলাম তুহিন,জসীমউদ্দীন,বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম,ইসমাইল হোসেন বাদশা।
নেতৃবৃন্দদের মধ্যে আবুল ফয়েজ,ইউনিয়ন শ্রমিক দলের আহবায়ক হোসেন চৌধুরী,সদস্য সচিব খোরশেদ আলম, অহিদুর রহমান,মোহাম্মদ রোকসার,ছাত্রনেতা মাহাবুল আলম কাজল,মিজানুর রহমান,সালাউদ্দিন,মোহাম্মদ মোরশেদ,জাভেদ,আমির হাসান শিমুল,জুবায়েত আকবর, ইমরান রানা,আবু মুসা আসিফ,তারেকুল আলম,মোহাম্মদ ইফাজসহ উপজেলা ও ইউনিয়নের সর্বস্তরের নেতাকর্মী-জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।