মো. রবিউল হোসেন, মানিকছড়ি:- পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার দুর্গম প্রত্যন্ত জনপদের বেশ কিছু সড়ক এখনো কাঁচা। ফলে বছরের পর বছর এসব সড়কে ভোগান্তি পোহাচ্ছন যাতায়াতকারীরা। যার মধ্যে উপজেলার ডাইনছড়ি বাজার থেকে পূর্ব ডাইনছড়ি হয়ে আমবাগান-ডিসিপার্ক সড়ক পর্যন্ত দুই কিলোমিটার সড়কের বেহাল দশা দীর্ঘদিনের। সড়কটি কাঁচা, ভাঙ্গা আর চলাচল অনুপযোগী হওয়ায় মাঝারি কিংবা ছোট যানবাহন কোনভাবে চলাচল করতে পারে। তবে বর্ষা মৌসুমে পায়ে হেঁটে চলাচল করাই দুষ্কর। সড়কের একাধিক স্থানে উঁচু করে কালভার্ট নির্মাণ করলেও দুপাশে মাটি ভরাট না থাকায় এবং সড়ক সংস্কার না করায় ব্যহত হচ্ছে স্বাভাবিক চলাচল। মুমূর্ষু রোগীকে হাসপাতালে নেয়া, শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত ও স্থানীয় কৃষকদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাতে চরম দুর্ভোগে পড়ছেন কয়েকশত পরিবার।
দীর্ঘদিনের এই সমস্যার সমাধান চেয়ে এবং দ্রুত সড়কটি সংস্কার করার দাবিতে সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে বাটনাতলী ইউনিয়ন পরিষদ সামনে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘দীর্য় কয়েক যুগ ধরে এই সড়কে ভোগান্তি পোহাচ্ছে পূর্ব ডাইনছড়ির কয়েকটি গ্রামের মানুষ। সড়কটি যাতায়াত উপযোগী না হওয়ায় দীর্ঘ সময় নিয়ে বিকল্প সড়কে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে হয় শিক্ষার্থী থেকে শুরু এখানে বসবাসরত সকল মানুষের। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের একাধিকবার জানানোর পরও তারা সড়কটি সংস্কারে কোন উদ্যোগ নেননি। জনস্বার্থে আমরা দ্রুত এই সড়কের সংস্কার দাবী করছি’।
মানববন্ধনে অংশ নেয়া স্থানীয় নারী ইউপি সদস্য বিলকিস আক্তার বলেন, ‘সড়কটি এই এলাকার ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতের একমাত্র পথ। বর্ষাকালে শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগেণর কষ্টের সীমা থাকে না। প্রায় দুই যুগ কাঁচা সড়কটি পাকা না হওয়ায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এলাকাবাসী। সড়কটি সংস্কারে একাধিকবার ইউনিয়ন পরিষদের বৈঠকে আলোচনা হলেও কি কারনে তার অগ্রগতি হয়নি তা আমার অজানা’।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মো. মহব্বত আলী বলেন, ‘ডাইনছড়ি-ডিসিপার্ক এবং পান্নাবিল থেকে ডিসি পার্কে যাওয়ার সর্বমোট ৫ কিলোমিটার সড়কের টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছিল। ইতিমধ্যে ৩ কিলোমিটার সড়ক পাকাকরণে বরাদ্দ অনুমোদন হয়েছে। বরাদ্দ সাপেক্ষে বাকি দুই কিলোমিটার সড়ক সংস্কার করা হবে’।