মো. রবিউল হোসেন, মানিকছড়ি:- সনাতন ধর্মাবলম্বী সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের শেষ দিনে উৎসবমুখর পরিবেশে খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার চারটি পূজামণ্ডপে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব।
রোববার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে মানিকছড়ি বাজার শ্রী শ্রী রাজ শ্যামা কেন্দ্রীয় কালী মন্দিরের প্রতিমা মন্দির সংলগ্ন পুকুরে, একসত্যা পাড়া শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দিরের প্রতিমা মন্দির সংলগ্ন পুকুরে, তিনটহরী শ্রী শ্রী দুর্গা মন্দির ও বড়ইতলী অদ্বৈত অচ্যুত ধাম পূজামন্ডপের প্রতিমা তিনটহরী গোদার পাড় পুকুরে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে বিসর্জন দেওয়া হয়েছে।
এসময় আনন্দ উৎসবে মেতে উঠেন পুজারীরা। সধবা নারীরা একে অপরকে পড়িয়ে দেন সিঁদুর, মেতে উঠেন সিঁদুর খেলায়। বিসর্জনের সাথে সাথে তরুণ তরুণীরা বাজাতে থাকেন ঢাক ঢোল আর কাঁসা। ধূপময় হয়ে উঠে বিসর্জন স্থল।
বিসর্জন উৎসবমুখর ও নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে এসময় পুলিশ, সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিসের সদস্য ও বিশেষ নিরাপত্তাকর্মীরা নিয়োজিত ছিলেন।
সনাতনী ভক্তরা জানান, অন্যান্য বছরের ন্যায় এবছরও উৎসবমুখর পরিবেশে শেষ হচ্ছে দুর্গোৎসব। সব কষ্ট দূর করে দেবী দুর্গা আমাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়েছেন। এক বছর পর মা আবার আসবেন। আমরা মায়ের কাছে দেশ ও জাতির মঙ্গলার্থে প্রার্থনা করেছি। পৃথিবীতে যেন শান্তি ফিরে আসে’।
হিন্দু ধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী, প্রতি শরতে কৈলাস ছেড়ে কন্যারূপে মর্ত্যলোকে আসেন দেবীদুর্গা। তার এই ‘আগমন ও প্রস্থানের’ মধ্যে আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী থেকে দশমী তিথি পর্যন্ত পাঁচ দিন চলে দুর্গোৎসব।
মহালয়ার মধ্য দিয়ে গত ২ অক্টোবর এবারের দুর্গোৎসবের ক্ষণ গণনা শুরু হয়েছিল। ওইদিন থেকেই পূজার আনুষ্ঠানিকতার সূচনা হয়। শাস্ত্রীয়ভাবে দুর্গাপূজা শনিবারই শেষ হলেও প্রতিমা বিসর্জন, সিঁদুর খেলাসহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয় আজ।