মো. রবিউল হোসেন, মানিকছড়ি:- শারদীয় উৎসবকে সামনে রেখে খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পীরা। রং তুলির আঁচড়ে মনের মাধুরী দিয়ে গড়ে তুলছেন দেবী দুর্গাকে।
মানিকছড়ি উপজেলা সদরসহ ৪টি পূজা মন্ডপে চলছে প্রতিমা শিল্পীর শেষ তুলির আঁচড়। প্রতিমা শিল্পীরা খড়কুটা আর মাটি জলের সমন্বয়ে গড়ে তুলছেন মা দুর্গার প্রতিমা। সাজ সজ্জায় বৈচিত্র্য আনতে মন্ডপে মন্ডপে চলছে প্রতিযোগিতা।উপজেলা সদরের শ্রী শ্রী রাজশ্যামা কেন্দ্রীয় কালী মন্দির, তিনটহরী দূর্গা মন্দির, একসত্যাপাড়া হরি মন্দির ও বড়ডলু বড়ইতলী পূজা মন্ডপে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।
তিনটহরী দূর্গা মন্দিরের পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি পালশ দে ও শ্রী শ্রী রাজশ্যামা কেন্দ্রীয় কালী মন্দির পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি টিটু পাল জানান, আর্থিক সংকটের মাঝেও প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ করেছেন। রং-তুলি ও সাজসজ্জার কাজ চলছে। মন্ডপ ভেদে প্রতিমা তৈরীতে ৭০-৯০ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। ইতিমধ্যে পূজা উদযাপনের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
পূজা মন্ডপগুলোতে কর্মরত প্রতিমা শিল্পী বিশ্বজিৎ পাল জানান, প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষের দিকে। এখন রং তুলির কাজ চলছে। এবছরও তারা অন্য বছরের মতো প্রতিমার আকার ও আয়তন ঠিক রেখেই প্রতিমা তৈরি করছেন। তবে এ বছর প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় প্রতিমা তৈরির খরচ একটু বেশি পড়বে।
কেন্দ্রীয় মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি বাবুল দেওয়ানজী, উপজেলার ৪টি মন্ডপে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয় দুর্গোৎসব। পূজা মন্ডপের সভাপতি সেক্রেটারিদের নিয়ে জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা কমিটির মিটিং করা হয়েছে।
মানিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইকবাল উদ্দিন জানান, ‘দুর্গোৎসবকে সার্থক করার জন্য সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে সনাতন নেতৃবৃন্দদের নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় একাধিক বৈঠক করা হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ষষ্ঠী পূজা শুরু থেকে প্রতিমা বিসর্জন পর্যন্ত মণ্ডপগুলোতে গুরুত্ব বিবেচনা করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’।