চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজারে চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় গুলজার টাওয়ারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ছারোয়ার হোসেন রোকন ও মোঃ হাবিবউল্লাহ উপর ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী হামলা ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বৃহত্তর চকবাজার ব্যবসায়ীক কল্যাণ ফেডারেশন এর উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর চট্টগ্রাম মহানগরীর সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুজ্জামান হেলালি,বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামি চকবাজার থানা আমির আহমেদ খালেদ আনোয়ার,চকবাজার থানার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান,চকবাজার থানার সমাজ সেবা সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াছ,চকবাজার ওয়ার্ড সভাপতি এরশাদুল ইসলাম,বাগমনিরাম ওয়ার্ড জামায়াতের আমির সাদুর রশিদ চৌধুরী,সিকান্দর মেহেদী একাডেমীর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সেকান্দর মেহেদী,বৃহত্তর চকবাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ ফেডারেশনের দায়িত্বশীলবৃন্দ মোঃ খালেক,জামাল উদ্দীন,মোঃ ইসমাইলসহ প্রমুখ। গুলজার টাওয়ার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাবেদ, ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবুল হায়াত,ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দের মধ্যে সাখাওয়াত হোসেন রাহুল,শওকত হোসেন রাসেল,মোহাম্মদ দেলোয়ার,নুরুল আমিনসহ প্রমুখ।
সন্ত্রাসীদের বিচারের দাবীতে বৃহত্তর চকবাজারে বেশ কয়েকটি মার্কেট বন্ধ রেখে তারা এই প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন এসময় ব্যবসায়ীরা সন্ত্রাসী,কিশোর গ্যাং ও চাঁদাবাজদের হাত থেকে চকবাজারকে চিরতরে মুক্ত করতে প্রশাসনের কার্যকরী পদক্ষেপ চান,অন্যথায় তারা চকবাজার তথা বৃহত্তর চকবাজারের ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৃহত্তর কর্মসূচি দেওয়ার কথা জানান।
এর আগে গত ৭ সেপ্টেম্বর( শনিবার) দিবাগত রাতে কতিপয় ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা চকবাজার গুলজার মোড়ে দোকান থেকে চাঁদা দাবি করলে সেখানে উপস্থিত থাকা গুলজার টাওয়ারের ব্যবসায়ী ছারোয়ার হোসেন রোকন ও হাবিব উল্লাহ প্রতিবাদ জানালে তাদের উপর উপুর্যুপরি হামলা চালায় একপর্যায়ে তাদের হামলায় মারাত্মক আহতবস্থায় উক্ত দু’জন ব্যবসায়ী গুলজার টাওয়ারে ঢুকে লুকিয়ে থাকে,তাদের সাহায্য আসা মার্কেটের ব্যবসায়ীদের সহায়তায় হাসপাতালে নিতে চাইলে তারা আবারও হামলা চালায় ব্যবসায়ীদের উপর,সন্ত্রাসীরা এসময় সাপ্তাহিক বন্ধের দিন হওয়ায় মার্কেটের সবকটি গেইটের তালা ভেঙ্গে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ও মারণাস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বন্ধ মার্কেটে প্রবেশ করে তাঁদের খুঁজতে থাকে,তাদের না পেয়ে মার্কেটে ব্যাপক লুটপাট ও ভাঙচুর চালায় যা মার্কেটে সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়।পরে খবর পেয়ে পুলিশ এলে সন্ত্রাসীরা পুলিশের উপরও হামলা চালায় একপর্যায়ে পুলিশও নিরুপায় হয়ে সরে পড়ে।মার্কেটে হামলার খবর পেয়ে আশেপাশের মার্কেটের ব্যবসায়ীরা এগিয়ে এসে আহত ব্যবসায়ীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়ে সন্ত্রাসীদের ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়।