মো. রবিউল হোসেন, মানিকছড়ি:- খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে উপজেলা পর্যায়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য ও কর্তৃত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বিষয়ক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা পর্যায়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন টাস্কফোর্স কমিটির সভাপতি সৈয়দা সাদিয়া নূরীয়ার সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ধুমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ও বিধিমালা সম্পর্কে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহীনা নাছরিন।
প্রশিক্ষণে উপজেলা পর্যায়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন ও টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. মো. মাজাহারুল ইসলাম, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইকবাল উদ্দিন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান চলাপ্রু মারমা নিলয়, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. রাশেদ, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মো. আতিউল ইসলাম, উপজেলা স্যানিটারী ইনস্পেক্টর পুলক চক্রবর্তী ও ইসলামি ফাউন্ডেশন মাঠ কর্মকর্তা মাওলানা মো. ইউছুপ বাহারসহ সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বক্তারা বলেন, ‘ধূমপান মানে বিষপান। যা মানুষকে কুড়িয়ে কুড়িয়ে শেষ করে দেয়। তামাকজাত দ্রব্যের ইতিবাচক কোনো দিক নেই বরং ক্ষতির অনেক দিক রয়েছে। ধূমপায়ী ব্যক্তি নিজে ক্ষতিগ্রস্ত হয় আবার এ দ্বারা আশপাশে থাকা মানুষদেরও ক্ষতি করে। কালের বিবর্তনে তামাকের ব্যবহারেও ভিন্নতা এসেছে। তামাক, জর্দ্দা, বিড়ি, সিগারেট পেরিয়ে তরল নিকোটিন বহনকারী ক্ষতিকর ই-সিগারেটের ব্যবহারও এখন দৃশ্যমান। সরকার ২০৪০ সালের মধ্যে বিড়ি, সিগারেট, জর্দার মতো তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে দেশের মানুষ তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা পাবে’।
বক্তারা আরও বলেন, ‘আইন অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, ক্লিনিক, শিশুপার্ক ও খেলাধুলার স্থান থেকে একশ মিটারের মধ্যে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি নিষেধ এবং ১৮ বছরের কম বয়সী শিশুর দ্বারা ক্রয় বা তামাকজাত দ্রব্য সিগারেট ফেরি করে বা ভ্রাম্যমাণ দোকানের মাধ্যমে বিক্রি করা যাবে না’।