মো.গোলামুর রহমান,লংগদু (রাঙ্গকমাটি)
পাহাড়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলার লংগদু ইউনিয়নের মনপতি বাজার এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। এসময় জেএসএস-সন্তুর সশস্ত্রগ্রুপের অতর্কিত হামলায় ইউপিডিএফ-প্রসীত গ্রুফের কালেক্টর তিলক চাকমা (৫০)ও স্থানীয় সাধারন নাগরিক ধন্যমতি(৪০) চাকমার মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে ।
শনিবার (১৮ মে) সকালে উপজেলার লংগদু সদর ইউনিয়নের মনপতি বাজার সংলগ্ন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
ইউপিডিএফ দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে লংগদু ইউনিয়নের মনপতি, ধনপতি, মধ্য খাড়িকাটা ও খাড়িকাটা এলাকায় ইউপিডিএফের সশস্ত্র একটি দল অবস্থান নেয়। লংগদু উপজেলার কাট্টলী এলাকায় ১০-১২ জনের একটি দল মনপতি ও মধ্যখাড়িকাটা এলাকায় এসে ইউপিডিএফের সদস্যের ওপর হামলা চালালে ঘটনাস্থলেই দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।
লংগদু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ জানান, এক জন ইউপিডিএফ কর্মী ও স্থানীয় একজন লোক নিহত হওয়ার খবর পেয়েছি। এলাকাটি খুব দুর্গম। পুলিশ ঘটনা স্থলে পৌঁছালে বিস্তারিত জানা যাবে।
এদিকে ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে ইউপিডিএফ বিবৃতি দিয়েছে। ইউপিডিএফ এর প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের নিরন চাকমা স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ ঘটনাকে কাপুরুষোচিত ও ন্যাক্কারজনক উল্লেখ করে বলেন, ইউপিডিএফের নেতৃত্বে সিএইচটি রেগুলেশন ১৯০০ বাতিলের ষড়যন্ত্রসহ বান্দরবানে বম জাতিসত্ত্বার ওপর নিপীড়ন-নির্যাতনের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনে বাধা সৃষ্টি করার লক্ষ্যে সরকারের কৃপা লাভের আশায় সন্তু লারমা আবারও তার খুনি বাহিনীকে দিয়ে ইউপিডিএফের কর্মী-সমর্থকদের হত্যা করতে শুরু করেছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, তার নির্দেশে আজকে লংগদুতে ইউপিডিএফের এক কর্মী ও এক সমর্থককে হত্যা করা হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের কাছে সন্তু লারমা একজন খুনি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবেন। তারা সন্তু লারমাকে গ্রেপ্তারপূর্বক আঞ্চলিক পরিষদ থেকে অপসারণ করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানিয়েছেন।
তবে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি লংগদু উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মনি শংকর চাকমা বলেন, ওই এলাকায় জেএসএসের কোনো কার্যক্রম নেই। এটি তাদের অভ্যন্তরীণ কন্দোলের কারণে হয়ে থাকতে পারে। তাদের নিজেদের অপকর্মের দায় আমাদের ওপর চাপানোর অপচেষ্টা করছে।