মংহাইথুই মারমা, রুমা প্রতিনিধি (বান্দরবান)
বান্দরবানে রুমা উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়নের গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ(কাবিটা) প্রকল্পের কাজ না করেই বিল উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। মাঠ পযার্য়ে খোঁজ না নিয়েই প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) এসব প্রকল্পের চেক দিয়ে ঠিক করেননি বলে মনে করেছেন স্থানীয় পাড়ারবাসীরা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ,টিআর-কাবিটা প্রকল্পের কোনো কাজ ঠিক মতো করছেন না। ক্ষমতা দেখিয়ে একের পর এক বরাদ্দ নিয়ে এসে জন প্রতিনিধিরা লুটপাট করে খাচ্ছেন। যে পরিমাণ বরাদ্দ তার অর্ধেক টাকা দিয়েও যদি কাজ করা হতো তাতে কিছুটা হলেও রাস্তাগুলো ভালো থাকতো। কিন্তু তারা প্রকল্পের এক আনাও কাজ করেননি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা মিলে, পাহাড়ে উচু নিচু পথ প্রায় ৩ঘন্টা হেঁটে ছান্দালা পাড়া ঝিড়ি মুখ থেকে মুয়ালপি পাড়া যাওয়ার পথে দুযোর্গ ত্রাণ মন্ত্রণালয় বিভাগে রুমা উপজেলা শাখায় একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বরাদ্দ দেয়া হলেও স্থানীয় গণমাধ্যমকমর্ীরা কাজের মান ও কাজের ধরণ কতটুকু বাস্তবায়ন হয়েছে তা দেখার জন্য তদন্ত গিলেও রাস্তার সংস্কারের বাস্তবায়নের দৃশ্য কোন ভাবেই মিলেনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা) ১নং পাইন্দু ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মুয়ালপি পাড়া হতে ছান্দালা ঝিড়ি পর্যন্ত রাস্তা সংস্কারের জন্য সাড়ে ৫ মে.টন বরাদ্দ দেয়া হয়। এ প্রকল্পের সভাপতি ৭,৮ ও ৯নং ওয়ার্ডে সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার উম্রানু মারমা। তিনি রাস্তার সংস্কার কাজে ভূয়া ছবি ও ভিডিও দেখিয়ে পুরো বিল উত্তোলন করা হয়েছে।
তবে এ বিষয়ে প্রকল্পের সভাপতি উম্রানু মার্মা এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ প্রকল্পে সভাপতি হয়েছে আমি নিজেই,তবে আমাকে নামেই মাত্র সভাপতি রেখেছে পুরো বিল উত্তোলন করার পর পরই পাইন্দু চেয়ারম্যান উহ্লামং মারমা সব টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। মূলত বলতে গেলে এ প্রকল্পটি ওনার (চেয়ারম্যান)। ফাইনাল বিল উত্তোলনের পর আমাকে বাসায় ডেকে সাড়ে ৪হাজার টাকা যাতাযাতের খরচ দিয়েছে। এর বেশি কোনকিছু দেয়নি।
এদিকে পাইন্দু ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উহ্লামং মারমা বলেন, প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করার জন্য প্রকল্পের সভাপতি উম্রানু মার্মাকে (মহিলা মেম্বার) ২৭হাজার টাকা দিয়েছিলাম তবে তিনি কাজ করেছে কিনা তা আমার কাছে অজানা।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহারিয়া মাহমুদ রনজু এর সাথে এসব বিল উত্তোলনের বিষয়ে আলাপ করলে তিনি বলেন, আমাদের কাছে কাজের ছবি ও ভিডিও দেখিয়েছিল তাই আমরাও বিশ্বাস করে প্রকল্পের কাজে তদন্ত না গিয়ে পুরো বিল দিয়ে ফেলেছি। তবে ঐ ধরনের কোন অনিয়ম করে থাকলে আমরা ব্যবস্থা নিব।
নিবার্হী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহবুবুল হক বলেন, যদি ঐ প্রকল্পের কোন অনিয়ম বা কাজ না করে পুরো বিল উত্তোলন করে থাকলে তদন্তে গিয়ে আইনের ব্যবস্থা নেয়া হবে।