মো. রবিউল হোসেন, মানিকছড়ি:- খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলায় বখাটে কর্তৃক এক উপজাতি কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক ও সহায়তাকারীসহ ৩জনকে আটক করেছে পুলিশ। এছাড়াও ভিকটিমের মোবাইল ফোন ও অপরাধীদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলও উদ্ধার করা হয়েছে। খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২৯ অক্টোবর রোববার সকাল সাড়ে ১১ টায় খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর তাঁর কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের ঘটনার বিবরণ ও অপরাধী আটকের তথ্য তুলে ধরে বলেন, মানিকছড়ি উপজেলার চৈক্কাবিল এলাকার থুইহলাঅং মারমার ১৯ বছর বয়সী কন্যাকে গত ২৫ অক্টোবর বিকেলে চট্টগ্রাম থেকে বাড়ি আসার পথে বাড়ির অদূরে সড়কের পাশে নির্জন জঙ্গলে তিন যুবক কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয়! ধর্ষিতা প্রথমে বিষয়ে গোপন রাখলেও রাতে তার মাকে বলেন, আমাকে তিন বাঙালি যুবক পথিমধ্যে ধর্ষণ করেছে! পরে ধর্ষিতা কিশোরীর পিতা গত ২৬ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকালে থানায় আসেন এবং অজ্ঞাতনামা তিন যুবকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এর পর বিষয়টি নিয়ে পুলিশ তৎপর হয় এবং চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নূরেআলম মিনার সুদক্ষ নির্দশনা ও পুলিশ সুপারের সুদৃঢ় নেতৃত্বে মানিকছড়ি থানা পুলিশের একটি চৌকস দল প্রযুক্তির ব্যবহারে উপজেলার গহীন অরণ্যে লুকিয়ে থাকা ধর্ষক ও সহায়তাকারী ৩ বখাটে যুবককে পৃথক অভিযানে গত ২৮ অক্টোবর বিকেলে আটক করতে সক্ষম হয়।
পুলিশ সুপার মুক্তা ধর আরও বলেন, ‘উপজেলার পূর্ব গচ্ছাবিল এলাকার মহর আলীর পুত্র মো. শাহ আলী(২০) তার সহযোগী একই এলাকার আবদুল মালেক ও লিয়াকত আলীর পুত্র মো. মিজানুর রহমান(২২) ও মো.হোসেন আলী(২২) কে নিয়ে ওই ভিকটিমকে ধর্ষন করে! আসামীগণ দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে আদালতে। মূলত ধর্ষিতার মোবাইলের সূত্র ধরেই প্রযুক্তির সহায়তায় অল্প সময়ে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। আজ রোববার আদালতের মাধ্যমে অপরাধীদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে’।