ফয়সাল মাহমুদ,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার কুশাখালিতে ওমান প্রবাসী মোঃ দাউদ হোসেনের ক্রয়কৃত জমি দখলের পায়তারা করছে একই এলাকার নুরুল আমিন। এছাড়া মিথ্যা অভিযোগ এনে মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ নুরুল আমিনের বিরুদ্ধে।
প্রবাসী দাউদ কুশাখালী ইউনিয়নের হাজিকান্দি গ্রামের শাহজাহানের ছেলে ও অভিযুক্ত নুরুল আমিন একই এলাকার ফলোয়ান মিয়ার ছেলে।
জানা যায়, ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে হাজিকান্দি গ্রামের নেছার আহমেদের কাছ থেকে ১৯শতাংশ জমি চাপ কবলা করে নেন দাউদ হোসেন। পরবর্তীতে ঐ জমি নুরুল আমিন বর্গা নেন। কিন্তু গত ৪মাস আগে নুরুল আমিন ঐ জমি নিজের বলে দাবি করেন এবং দাউদের পরিবারকে ফসল দিতে অস্বীকার করেন। এ নিয়ে তাদের মাঝে বিরোধ তৈরি হয়। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে দাউদের পিতার শাহাজাহানের নামীয় জমির কিছু গাছ কেটে নুরুল আমিন তার স্ত্রী আমেনা বেগম কে দিয়ে ৫জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন।। এতে আসামী হন দাউদের ৪ভাই ও তার বাবা।
দাউদের স্ত্রী হাসিনা বেগম বলেন, আমার স্বামীর ক্রয়কৃত জমিতে বর্গাচাষী ছিলো নুরুল আমিন। কিন্তু সম্প্রতি ঐ জমি সে তার নিজের বলে দাবি করছে। আমাদের জমিতে যে যেতে দিচ্ছে না। নুরুল আমিন জোর করে ঐ জমি দখলে নিতে চায়। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করি।
দাউদের ভাই নিজাম উদ্দিন বলেন, নুরুল আমিন ও তার পরিবার দ্বারা আমরা ব্যাপক হয়রানির শিকার হচ্ছি। আমাদের উপর হামলা ও মামলা দিয়ে তারা হয়রানি করছি। আমার বাবার জমির গাছ কেটে উল্টা আমার বাবা সহ আমাদের ৪ভাইয়ের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা করেছে। বর্তমানে ঐ মামলায় আমরা সবাই জামিনে আছি।
তিনি আরো বলেন, আমি একজন প্রবাসী। নুরুল আমিন আমাকে হুমকি দিচ্ছে বিদেশ যেতে দিবে না। সে আমার ক্ষতি করার পায়তারা করছে। আমরা সঠিক তদন্তের মাধ্যমে এর বিচার দাবি করি।
স্থানীয় সিরাজ বলেন, নুরুল আমিন এলাকায় অনেকের জমি দখল করতে চায়। নুরুল আমিন ছিলো দাউদদের বর্গা চাষী, এখন সে কিভাবে মালিক হয় এটা আমাদের জানা নেই।
নুরুল আমিনে ছেলে রাকিব বলেন, দাউদরা যার কাছ থেকে জমি কিনেছে তার জমিই তো টিকে না। তারা জমির মালিক হবে কিভাবে। ঐ জমির মালিক আমরা। বরং তারা আমাদের হয়রানি করছে।
দাসেরহাট পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মুজিবুর রহমান বলেন, গাছ কাটার একটি মামলা হয়েছে। আসামীরা জামিনে আছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। তদন্ত করে আমরা প্রতিবেদন দাখিল করবো।