ফয়সাল মাহমুদ, লক্ষ্মীপুর:
লক্ষ্মীপুরে কলেজ যাওয়ার পথে সুবর্ণা মুনতাহা রিজমির উপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে হামলাকারী তানজীদ আহম্মেদ রিয়ান ও তার মা তাহমিনা আক্তারকে (৪৫) আসামী করা হয়। মামলায় আরও ৪-৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে রিয়ানকে তার নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে। এদিন বিকেলে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন আহত কলেজছাত্রী রিজমির নানা আব্দুল সাত্তার ভূঁইয়া।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আল-আমিন রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামীকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
ঘটনার পর জানা গেছে, কলেজছাত্র রিয়ান ও কলেজছাত্রী রিজমি স্বামী-স্ত্রী। ৯ মাস আগে গোপনে তারা বিয়ে করেছে। সম্প্রতি তাদের সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় রিজমির উপর হামলা করে তার স্বামী রিয়ান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও রিজমি ও রিয়ানের ঘনিষ্ঠ কিছু ছবি ছড়িয়ে পড়ে।
রিয়ান দক্ষিণ মজুপুর গ্রামের রাফি আহম্মদের ছেলে ও দালাল বাজার ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, রিজমি লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী ও সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের লাহারকান্দি গ্রামের মুরাদ হোসেনের মেয়ে। কলেজ আসা-যাওয়ার পথে রিয়ানের সঙ্গে তার সু-সম্পর্ক গড়ে উঠে। রিয়ান ও তার মা তাহমিনা কৌশলে দুটি অলিখিত নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে রিজমির স্বাক্ষর নেয়। পরে রিয়ানকে রিজমির স্বামী দেখিয়ে জাল জালিয়াতি করে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ের এফিডেভিট করা হয়।
২৯ আগস্ট দুপুর সোয়া ১ টার দিকে কলেজ যাওয়ার পথে মদিন উল্যা হাউজিংয়ের সামনে রিয়ানসহ অজ্ঞাত আসামিরা তার গতিরোধ করে। একপর্যায়ে তাকে জোরপূর্বক সিএনজি চালিত অটোরিকশাযোগে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে। যেতে রাজি না হওয়ায় তাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও লাথি মারে রিয়ান। এসময় চিৎকার চেচামেচি করলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে রিয়ান তার কপালে আঘাত করে। পরে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় তাকে রাস্তায় ফেলে রেখা তারা পালিয়ে যায়। আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে