llশ.ম.গফুর,উখিয়া,কক্সবাজারll
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের বাইশফাঁতীতে অনুমোদনবিহীন সার বিক্রি করছে মুদি দোকানীরা।চোরাই পথে ইউরিয়া সার এনে যত্রতত্র বিক্রিতে মেতে উঠেছে এসব অসাধু ব্যবসায়ীরা।
ফলে সরকার অনুমোদিত সার ডিলার সরকারকে রাজস্ব দিয়েও বিপাকে পড়েছে।যেসব কৃষকদের চাহিদা বিবেচনা করে সার ডেলিভারিতে আনেন,সেসব সার অধিকাংশ বিক্রি না হওয়ার কারণে লোকসানে পড়েছেন সংশ্লিষ্ট ডিলার।
জানা গেছে ঘুমধুম ইউনিয়নের ১,২ ও ৩ টি ওয়ার্ডের কৃষকদের চাহিদা মেঠাতে তুমব্রু বাজারে সরকারী ভাবে ডিলারশীপ নেন জনৈক শফিউল আলম।তার ডিলার থেকে সার নিয়ে চাহিদা মেঠাতো দুর্গম অঞ্চল বাইশফাঁড়ীর ৩ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন চাষাবাদের কৃষকরা।
বাইশফাঁড়ী বিজিবি বিওপি সংলগ্ন জনৈক ইসহাক আহমদের ছেলে মুদির দোকানী সাঈদী আলম ও একই এলাকার মোঃ কালুর ছেলে নুরুল বশর কীটনাশক বিক্রির অনুমতিপত্র থাকলেও কোন প্রকার সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন ছাড়াই ইউরিয়া সার বিক্রি করে চলছে।এসব সার উখিয়ার মরিচ্যা,কোটবাজার,
উখিয়া ও কুতুপালং বাজার থেকে চোরাইপথে নিয়ে এসে বিক্রি করছে।যার ফলে সরকার রাজস্ব বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি সরকার অনুমোদিত সার ডিলারও চাহিদা মাফিক পাওয়া সার বিক্রিতে কালক্ষেপন হচ্ছে।তাতে লোকসান গুণতেও হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে অনুমোদনবিহীন সার বিক্রেতা নুরুল বশরের বক্তব্য জানতে তার ব্যবহ্নত ০১৫৭৫১৪৩০২৫ নাম্বারে কল দিলে সংযোগ পাওয়া যায়নি,তাই মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। ঘুমধুম ইউপির তুমব্রুস্থ সার ডিলার শফিউল আলম জানান,বাইশফাঁড়ীতে বসবাসরত চাষি বা কৃষকরা আমার নিকট থেকে সার নিচ্ছেনা।তারা পাশেই পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।
ঘুমধুম ইউনিয়নের তুৃৃমব্রুতে দায়িত্বরত উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কামাল উদ্দিনের নিকট জানতে চাইলে,তিনি জানান,বাইশফাঁড়ীতে দুইজন কীটনাশক বিক্রেতা আছে জানি।তারা সার বিক্রি করে থাকলে যাচাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হইবে।আগামী শনিবার আমি ওখানেই যাবো।