সরওয়ার কামাল,মহেশখালী, কক্সবাজারঃ
উখিয়ার পালংখালীতে শত শত জনবসতি ও ধানী জমি রক্ষায় কাফনের কাপড় পরে নারী-পুরুষ সহ পুরো গ্রামবাসীরা আন্দোলনে নেমেছেন। ২৬ই জানুয়ারী বিকেলে পালংখালী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের আন্জুমান পাড়ায় বিশাল মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় অসংখ্য নারী-পুরুষ কাফনের কাপড় পরে বিক্ষোভ সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন। আবদুল লতিফ ওয়াকফ এস্টেটের জনস্বার্থ বিরোধী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা,বিক্ষোভ প্রদর্শন ও মানববন্ধন কর্মসূচীর আয়োজন করেন ।
মানববন্ধনোত্তর বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেছেন পালংখালীর আঞ্জুমান পাড়া-বটতলীর সহস্রাধিক পরিবারের অন্তত ১০ হাজার মানুষ বিগত দেড়শত বছর ধরে বংশপরম্পরায় বসবাস করে আসছেন।আবদুল লতিফ ওয়াকফ এস্টেটের ৯ শত ২৭ একর জমিতে জীবিকার তাগিদে চিংড়ী চাষ ও ধান চাষাবাদ করে আসছিলেন । বক্তারা আরো বলেন আকস্মিক আবদুল লতিফ ওয়াকফ এস্টেট মোতায়াল্লী সাজিয়ে লতিফ আনোয়ার চৌধুরী খোকা মিয়া সহ সংশ্লিষ্টরা স্থানী বাসিন্দাদের কোন প্রকার অবগত না করে বিশালাকার চিংড়ী ঘের ও ধান্য চাষের জমি গোপনে দীর্ঘ মেয়াদী লীজ দিয়েছে। সেখানে বিশাল ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট নির্মাণ করার জন্য অসংখ্য এস্কেবেটর দিয়ে মাটি কাটার কাজ শুরু করেন।
যেখানে একটু বৃষ্টি হলেই পানি ওঠে,মাত্র ৪০ ফুট গভীরে গেলে বিশুদ্ধ খাবার পানীয়জল মিলে,সেখানে পানি শোধনাগারের অজুহাত দেখিয়ে হাজার-হাজার মানুষ কে বাস্তভিটা ছাড়া করার নীলনকশা চলছে।হাজার-হাজার একর চিংড়ী চাষের ও ধান চাষের জমি হাতছাড়া হলে দুর্ভিক্ষ আর খাদ্য সংকটে ভোগবে স্থানীয়রা।নানা অজুহাতে আমাদের কে বেকারত্বের দিকে ধাবিত করেছে আবদুল লতিফ ওয়াকফ এস্টেট।শুধু চাষের জমি হাতছাড়া নয় আঞ্জুমান পাড়া-বটতলী গ্রামের দেড় সহস্রাধিক পরিবারের অন্তত ১০ হাজার বাসিন্দা কে কৌশলে বাস্তভিটা থেকেও উচ্ছেদের পায়ঁতারা চালাচ্ছে।
বক্তারা হুসিয়ারী উচ্চারণ করে বলেছেন তাদের দাবী,শত বছরের জনবসতি উচ্ছেদ করা যাবেনা, চিংড়ী চাষের জমি অন্য কাজে ব্যবহার এবং ধান্য জমি রুপান্তর করা যাবেনা।এসব দাবী আদায়ে শেষ রক্ত বিন্দু থাকতে জনবসতি থেকে উচ্ছেদ করার চেষ্টা করলে শত-শত নারী-পুরুষ ও শিশু আত্নহুতি দেবে।তাই আঞ্জুমান পাড়া-বটতলী বাসীর জীবিকার বাহন জায়গা জমির লীজ বাতিল করে শত বছরের একমাত্র আশ্রয়স্থল জনবসতি উচ্ছেদ করার আগে কর্তৃপক্ষ কে বিবেচনার জন্য আহবান জানিয়েছেন।বক্তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, ভুমিমন্ত্রী,বিভাগীয় কমিশনার,জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পালংখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি এমএ মঞ্জুর, স্থানীয় ইউপি সদস্য সোলতান আহমদ ,কৃষকলীগ নেতা জাফরুল ইসলাম,আওয়ামীলীগ নেতা রমজান আলী,যুবলীগ নেতা শাহজাহান,সমাজ নেতা মোক্তার আলম,মঞ্জুর আলম ও হোছাইন আহমদ প্রমূখ।