আয়েশা সিদ্দিকা,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়:
সারাদেশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হচ্ছে।শিক্ষার্থীরা মহাখুশি তারা আগের মতো নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে পারবে ।
দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। অন্যদিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বল্প পরিসরে আবাসিক হল খোলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে এই মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয় বা আবসিক হল কোনোটিই খোলার চিন্তাভাবনা নেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) কর্তৃপক্ষের।
অন্যদিকে রবিবার( ২৪জানুয়ারি), বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর এসএম মনিরুল হাসান থেকে চবি না খোলার বিষয়টির তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে ইউজিসি সবসময় একটা নির্দেশনা পাঠায়। তারা এখনও কোনো নির্দেশনা পাঠায়নি। ইউজিসি নির্দেশনা পাঠালে আমরা খোলার প্রস্তুতি শুরু করবো।
তিনি আরও বলেন, করোনা পরিস্থিতি এখনো মহামারি আকারেই আছে। ভ্যাকসিন মানুষ নেওয়া শুরু করলে তখন হয়ত একটা পর্যায়ে আসবে। বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে হলে আগে ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করতে হবে। দেখা যাক, খোলার মতো অবস্থা হলে আমরা অবশ্যই খুলে দিব। আমরা মনে মনে প্রস্তুতি নিচ্ছি।
জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল বন্ধ রেখেই অসমাপ্ত পরীক্ষা নেওয়ার অনুমতি দেয় একাডেমিক কাউন্সিল। তবে হল না খোলায় পরীক্ষা না দেওয়ার পক্ষেই অবস্থান নেন অধিকাংশ শিক্ষার্থী। এর ফলে বিভাগগুলো শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিতে পারছে না। তাই সীমিত পরিসরে আবাসিক হল খুলে এসব শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা আয়োজন করার উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন।
আরও একটি সূত্র থেকে জানা যায়, হল খোলা হলেও সর্বপ্রথমে মাস্টার্স এবং অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদের প্রাধান্য দেওয়া হবে। প্রথমে তাদের হলে রেখে বাকি থাকা পরীক্ষাগুলো নেওয়া হবে। এরপর ধাপে ধাপে তৃতীয়, দ্বিতীয় ও প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য হল খুলে দেওয়া হবে।