কৃষি অফিস ও বাগান মালিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চারটি ইউনিয়নে ২০২১-২২ অর্থবছরে ৪৩০ হেক্টর টিলায় বাহারী ও রসালো আম্রপালি, বারি-৪, রাংগাই, মাহালিশা, কিউজাই, মলিকা ও বারোমাসি কাটিমন আম চাষ করেছেন অন্তত ছোট-বড় শতাধিক বাগান মালিক।
মালিহা বাগানের স্বত্বাধিকারী ও জেলা পরিষদ সদস্য মো. মাঈন উদ্দীন বলেন, এ বছর যে পরিমাণ মুকুল আসছিল, খরা ও তীব্র দাবদাহে অন্তত ৫০% ফলন নষ্ট হয়ে গেছে! ধর্ম ঘর এলাকার মথৈই মারমা বলেন, আমার ৮/৯ বছর বয়সী বাগানের ৮০০ ফলন্ত গাছে এবার ৬০% আম টিকানো গেছে। এই মুহুর্তে পাইকারের ৭ লাখ টাকা দর হাকছে। ১০ লাখ টাকা হলে বাগান আগাম বিক্রি করে দেবো।
শনিবার (৬ মে) উপজেলার সবচেয়ে বড় আম বাগান সেম্প্রুপাড়ার মো. আবু তাহের’র বাগানে গেলে তাহের বলেন, মুকুল গুঁটিরুপ ধারণকালীন সময়ে প্রচন্ড খরার কবলে এবারও ফলনে ধস নেমেছে! অনেক চেষ্টা ও পরিচর্চায় ৬০% ফলন ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছি। এই বছর বাগানে অতিরিক্ত ব্যয় হয়েছে। বাজারম‚ল্য কেমন হবে তা এই মুহুর্তে বলা যাচ্ছে না। গত বছর ৫০-৫৫ টাকা দরে (কেজি) বিক্রি করেছি । আম্রপালি, মল্লিকা, কিউজাই, বারি-৪, মাহালিশা (ব্যানানা)সহ নানা প্রজাতির প্রায় ১৫০০ গাছে কম-বেশি আম ধরেছে। জুন মাসের প্রথম থেকে আম্রপালি ও মল্লিকা বাজারজাত করা যাবে। নতুন চমক আসবে কিউজাই আমে। এটি জুলাই মাসে বাজারজাত শুরু হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসিনুর রহমান বলেন, গত মৌসুমে উপজেলায় ৪৩০ হেক্টর টিলায় সৃজিত বাগানে আম উৎপাদন হয়েছিল ২৬ হাজার মে. টন আম। এবার অনাবৃষ্টি ও স্মরণকালের দাবদাহে ফলন বিপর্যয় ঘটছে। ফলে ভোক্তা পর্যায়ে আমের মূল্যবৃদ্ধির আশংকা রয়েছে।