রাঙ্গামাটি প্রতিনিধিঃ
রাঙ্গামাটিতে এক প্রতিভাবান পোর্ট্রেট আর্টিস্ট এর চিত্রশিল্প খুব সহজেই মানুষের নজর কেড়ে নিচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে পরিবার, এলাকায় ও স্কুল কলেজে বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে আর্টিস্ট হিসেবে পরিচিত হলেও, একসময় এই ছোট গন্ডি পেরিয়ে আলোচনায় এসেছেন দেশের বিখ্যাত ব্যাক্তিদের প্রতিকৃতি অংকন করে সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচারের মাধ্যমে ।
যাদের মধ্যে রয়েছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন সহ আরও অনেক গুনী ব্যাক্তিবর্গ।
সম্প্রীতি রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের নব নিযুক্ত চেয়ারম্যান জনাব অংসুইপ্রু চৌধুরী’ মহোদয়ের ছবি অঙ্কন করে যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করার পর প্রশংসাতুল্য মন্তব্যে সাড়া পান এই আর্টিস্ট।
পূর্বেও আর্ট করছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরার প্রতিকৃতি। তার প্রতিটা শিল্পকর্মে যেনো যত্নশীলতার ছাপ লক্ষ্য করা যায়।
রাঙ্গামাটি নিউজ ২৪ ডটকমের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করে জানা যায়, রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার ৩-নং ওয়ার্ড এর খাদ্য গুদাম এলাকার বাসিন্দা মিহির দেব এর সন্তান নয়ন দেব।
ছোট বেলা থেকেই চিত্রাঙ্কনে পারদর্শী সে। আর্টিস্ট হয়ে ওঠার পিছনে কার সহযোগিতা ও অনুপ্রেরণা পেয়েছেন? জানতে চাইলে তিনি বলেনঃ “চিত্রশিল্পী মোহাম্মদ ইব্রাহীম স্যারের কাছে আমার চিত্রাঙ্কনের হাতেখড়ি। তাঁর শিক্ষায় জেলা, বিভাগীয় ও জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় ভাল ও ধারাবাহিক সাফল্যের কারনে আমাকে রাঙামাটি চারুকলা একাডেমিতে ভর্তি করানো হয়।
শিল্পী
কিন্তু ৮ম শ্রেণির পর আমার চিত্রাঙ্কণ কন্টিনিউ করা হয়নি। পড়ালেখার চাপে ছেড়ে দিতে হয়েছিল সব। কিন্তু আমি চিত্রাঙ্কন ছেড়ে দিলেও চিত্রাঙ্কনের প্রতি আমার ভালবাসা এবং ঈশ্বরের আশীর্বাদ স্বরুপ যে গুনটি আমার মধ্যে ছিল তা যেন আমাকে ছেড়ে যায়নি।
তাই আমি ইন্টার সেকেন্ড ইয়ার থেকে আবার চিত্রাঙ্কন প্রেক্টিস শুরু করি। বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেল থেকে টিউটোরিয়াল দেখে শিখার চেষ্টা করি। পাশাপাশি যতটা পারি বাচ্চাদের ড্রইং শেখানো শুরু করি। তারপর আমার পোর্ট্রেট আঁকার সুনাম ছড়িয়ে পরে। আমার অনেক পোর্ট্রেট এর রিকোয়েস্ট আসতে থাকে। এ থেকে আমি প্রফেশনালি পোর্ট্রেট আঁকা শুরু করি। গত দুইবছর ধরে আমি কমিশন ওয়ার্ক্স করছি। দেশের প্রায় সব জেলা থেকেই ছবির অর্ডার আসে, এখনো পর্যন্ত ১৫০ এর উপর ছবি এঁকেছি।তবে আমি এখনো দেশ ব্যাপি চিত্রশিল্পী হিসেবে এতটা বেশি সুনাম অর্জন করতে পারিনি, সবে মাত্র যাত্রা শুরি করেছি।”
এই চারুকলা শিল্প নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি? উত্তরে বলেনঃ “ভবিষ্যতে গ্রাফিক নোভেল তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে, স্বপ্ন দেশের একজন বড় কার্টুনিস্ট হওয়ার।” স্থানীয়দের বিশ্বাস সরকারের জাতীয় শিল্পকলা একাডেমিসমূহের এবং গুনি শিল্পী সহযোগিতা ও দিকনির্দেশনা পেলে নয়ন দেব একদিন দেশের স্বনামধন্য চিত্রশিল্পী তালিকায় নাম লিখাতে পারবে।