মো. রবিউল হোসেন:- বাংলা নববর্ষ ও বর্ষবরণের আমেজ কেটে গেলেও পাহাড়ি জেলা খাগড়াছড়িতে এখনো কাটেনি নববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত নানা অনুষ্ঠানের আমেজ। পাড়ায় পাড়ায় চলছে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর নানা অনুষ্ঠান। এরই অংশ হিসেবে ১৭ এপ্রিল সোমবার মানিকছড়ি উপজেলার যোগ্যাছোলা পশ্চিম পাড়ায় মারমা সম্প্রদায়ের সাংগ্রাই উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে বলী খেলা, পানি খেলাসহ নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
মারমা জাতিসত্তার, ঐতিহ্য, ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যবাহী ক্রীড়া অনুষ্ঠানকে সমুন্নত রাখার প্রত্যয়ে উপজেলার ৩নং যোগ্যাছোলা ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়ায় প্রতিষ্ঠিত জেতবন বৌদ্ধ বিহারের দায়ক-দায়িকা ও তরুণ-তরুণীদের আয়োজনে ক্রীড়ানুষ্ঠান, বলি খেলা, মৈত্রী জল বর্ষণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে
সোমবার সকাল ৯টায় মঙ্গল র্যালির মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সুচনা হয়। সাড়ে ১০টায় বিহার সংলগ্নে মাঠে মারমা সম্প্রদায়ের কিশোর-কিশোরী ও যুবক যুবতীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় মৈত্রী জল বর্ষণ (পানি খেলা) ও হা-ডুডু খেলা। বিকেল সাড়ে ৩টায় স্থানীয় ও বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত ১২ জন বলীর অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় ঐতিহ্যবাহী বলী খেলা। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে বলী খেলায় চ্যাম্পিয়ন হন সাথোয়াইপ্রু মারমা ও রানার্সআপ হন ইথোয়াই মারমা। পরে পুরস্কার বিতরণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মানিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান মো. জয়নাল আবেদীন।
উপজেলা কার্বারী এসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যজাই মারমার সভাপতিত্ব ও মারমা উন্নয়ন সংসদ’র সভাপতি অংশেপ্রু মারমা অংশের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ইউপি চেয়ারম্যান ক্যয়জরী মহাজন, ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন, ইউনিয় যুবলীগ সভাপতি নুরুল আফছার শামীম, ইউপি সদস্য মো. তৈয়ব আলী, ইউপি ছাত্রলীগ সভাপতি মো. জামাল হোসেন প্রমুখ। দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানে পাবর্ত্য চট্টগ্রাম ও বিভিন্ন উপজেলার হাজারও মানুষের সমাগম ঘটে। সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে সমাপ্ত হয় দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের।