হাবীব আজমঃ
অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট আনোয়ার হোসেনকে অপহরণের প্রতিবাদে রাঙামাটিতে পিসিএনপি ও পিসিসিপি’র মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলায় সিমান্ত সড়ক নির্মাণের কাজে নিয়োজিত সার্জেন্ট অবসরপ্রাপ্ত আনোয়ার হোসেনকে পাহাড়ি সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন কেএনএফ কর্তৃক অপহরণের প্রতিবাদে অদ্য ২৯শে মার্চ বুধবার সকালে রাঙামাটি শহরের বনরূপায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ (পিসিএনপি) ও পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি) রাঙামাটি জেলা শাখা।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ পিসিএনপি রাঙামাটি জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিকী’র সভাপতিত্বে ও পিসিসিপি রাঙামাটি জেলা সভাপতি মোঃ হাবীব আজমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তব্য রাখেন, পিসিএনপি রাঙামাটি সদর উপজেলা সাংগগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মমিন বিন কাদের, পিসিএনপি নেতা কামাল উদ্দিন, পিসিসিপি রাঙামাটি কলেজ শাখার আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম, পৌর কমিটির নেতা মোঃ পারভেজ মোশারফ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, পার্বত্যাঞ্চলের কুকি-চিন জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত এলাকা নিয়ে হাতে অঙ্কিত মানচিত্র প্রদর্শন করছে কেএনএফ। তাদের দাবি পূর্ণ স্ব-শাসনের ব্যবস্থা চায় তারা। বর্তমানে মিজোরামে ও পার্বত্য চট্টগ্রামে এ সংগঠনের সশস্ত্র ও নিরস্ত্র সক্রিয় সদস্য সংখ্যা রয়েছে কমবেশি ৪ হাজার।
এই কেএনএফ তাদের সশস্ত্র শাখার কার্যক্রম কয়েক বছর ধরে অতিগোপনীয়তার সাথে পরিচালনা করে আসছে। পরবর্তীতে মনিপুর রাজ্যের এবং বার্মার বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সাথে সম্পর্কোন্নয়ন করে গোপন আঁতাত করে কয়েক শত সদস্যকে মনিপুর রাজ্যে সামরিক প্রশিক্ষণে পাঠায়। একইভাবে শতাধিক সক্রিয় সদস্য কাচিন, কারেন প্রদেশ এবং মনিপুর রাজ্য থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে।
সশস্ত্র শাখার ক্যাডারগণ ২০১৯ সালে ইনফেন্ট্রি কমান্ডো প্রশিক্ষণ গ্রহন করেছে মর্মে বিভিন্ন রিপোর্ট রয়েছে। এই সশস্ত্র শাখার ক্যাডারাই বান্দরবানে সেনা ওয়ারেন্ট অফিসার নাজিম উদ্দিনকে হত্যা করেছে এবং অবঃ সার্জেন্ট আনোয়ার হোসেনকে অপহরণ করেছে।
বক্তরা আরো বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্থিরতা তৈরি করে দেশদ্রোহীতামূলক তৎপরতার অংশ হিসেবে কেএনএফ সন্ত্রাসীরা পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান কাজী মজিবর রহমান-কে হুমকির দেওয়ার দুঃসাহস প্রদর্শন করেছে। কাজী মজিবর রহমান কে হুমকির মধ্য দিয়ে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) তাদের অস্তিত্ব মুছে ফেলার দিকে ধাবিত হচ্ছে। তারা মনে করেছে আমাদের কাজী মজিবর রহমানের সৈনিকরা দুর্বল এবং ভীতু। তাদের জেনে রাখা উচিত আমাদের প্রিয় নেতার জন্য আমরা জীবন উৎসর্গ করতে দ্বিধাবোধ করবো না। কেএনএফ যদি অতি বেশি বাড়াবাড়ি করে তাদের পরিণতি খুবই খারাপ হবে৷ পার্বত্যবাসী এই নেতার জন্য সন্ত্রাসীদের বিষ দাঁত উপড়ে ফেলতে বিন্দুমাত্র চিন্তা করবে না।
নেতৃবৃন্দরা বলেন, অবিলম্বে আনোয়ার হোসেনকে উদ্ধারের দাবি জানাচ্ছি সরকারের নিকট সেই সাথে আমরা সরকারের কাছে আরো দাবি জানাচ্ছি পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রশাসন ও সাধারণ জনগণের জান মালের নিরাপত্তার জন্য সেনাক্যাম্প পাহাড়ের প্রতিটি চূড়ায় চূড়ায় বৃদ্ধি করে পুরো পার্বত্য চট্টগ্রামে কম্বিং অপারেশন করে পাহাড়ী আঞ্চলিক সশস্ত্র সকল সন্ত্রাসীদের দমন করার দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।