মিরসরাই প্রতিনিধি:-
মিরসরাইয়ে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে ঘরে অগ্নিসংযোগ, হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার ৪ নম্বর ধুম ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যম ধুম গ্রামের ফরিদ বক্স ভূঁইয়া বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। হামলার শিকার রফিকুল ইসলামের পুত্র নুর নবী বাদী হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখপূর্বক ও অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১২ জনকে আসামী করে জোরারগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলেন ধুম ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যম ধুম গ্রামের ফরিদ বক্স ভূঁইয়া বাড়ির মৃত দুধু মিয়ার পুত্র ইউছুফ মিয়া (৩০), মফিজুর রহমান (৩৫), তৌহিদুল ইসলাম তৌহিদ (২৪), ফখরুল ইসলামের পুত্র মারুফ (২০), মৃত জাকির হোসেনের পুত্র আবুল খায়ের (৫৫), আবুল খায়েরের পুত্র ইবু (২৫), মীর হোসেনের পুত্র সাকিব (১৮), তারেক (২০), মৃত গুন্ডু মিয়ার পুত্র হানিফ (২৬) ও মাহিন (২২)।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ধুম ইউনিয়নের মধ্যম ধুম গ্রামের ফরিদ বক্স ভূঁইয়া বাড়িতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মতবিরোধের কারণে দফায় দফায় শালিসী বৈঠক, তদবির, চেষ্টার পরও কোন মীমাংসা না হওয়ায় বর্তমানে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। এমতাবস্থায় গত বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক একটার সময় বসতবাড়িতে রান্নাঘরে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
আগুন লাগার শব্দে বাড়ির ঘুমাচ্ছন্ন সবাই জেগে উঠে আগুন নেভানোর চেষ্টাকালে ঘটনাস্থলে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ১৫-২০ জনের সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল বাড়ির সীমানার টিন ভাংচুর ও উপড়ে ফেলে, গাছপালা কর্তন করে অন্যত্র সরিয়ে ফেলে। এছাড়া রফিকুল ইসলাম ও তার পরিবারের সদস্যদের উপর চড়াও হয়ে অতর্কিত হামলা চালায় এবং হত্যার হুমকি প্রদান করে। একপর্যায়ে ৯৯৯ এ রফিকুলের ফোনের সূত্র ধরে কর্তব্যরত জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় রক্ষা হয় এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়ে উঠে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া ।
এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত নুর নবী বলেন, আমাদের বাড়ির অনধিকার নালিশী তফসিলের জায়গায় মতবিরোধের কারণে স্থানীয়ভাবে কোন মীমাংসা হওয়ায় কয়েক বছর ধরে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। এমতাবস্থায় বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) রাত একটার সময় রান্নাঘরে আগুন লাগার শব্দে বাড়ির ঘুমন্ত সবাই জেগে উঠে আগুন নেভানোর চেষ্টাকালে ১৫-২০ জনের সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল আমার পরিবারের উপর চড়াও হয়ে বাড়ির সীমানার টিন ভাংচুর ও উপড়ে ফেলে, গাছপালা কর্তন করে বাহিরে ফেলে দেয়। এসময় আমি ও আমার মা-বাবাকে মারধর করে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করলে অবস্থা বেগতিক দেখে ৯৯৯ এ কল দিলে জোরারগঞ্জ থানার কর্তৃব্যরত পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আমাদেরকে রক্ষা করে এবং স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এই ঘটনায় প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমি এবং আমার পরিবারের নিরাপত্তার স্বার্থে জোরারগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
জোরারগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরে হাবিব ফয়সাল বলেন, ধুম ইউনিয়নের মধ্যম ধুম গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে অগ্নিসংযোগ ও হামলার ঘটনায় অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।