লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বিয়ের ৫ মাসের মাথায় শ্বশুর বাড়ি থেকে হারুনুর রশিদ ওরফে কসাই হারুন (৩৩) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে জেলার রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ঝুলন্ত মরদেহটি উদ্ধার করে হাজিমারা পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা।
হারুন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার রসুলগঞ্জ ইউনিয়নের চররুহিতা গ্রামের নবীগঞ্জ এলাকার মান্নানের ছেলে। সে পেশায় কসাই ছিল।
রসুলগঞ্জ বাজারে মাংসের দোকান আছে তার। তবে হারুনের পরিবারের দাবি, স্ত্রীর পরকীয়ার জের ধরে শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে হত্যা করেছে।
পারিবার সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৫ মাস আগে রায়পুরের চরবংশী ইউনিয়নের মান্নানের মেয়ে বৈশাখী আক্তারের (১৬) সঙ্গে হারুনের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। আড়াই মাস আগে তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে।
হারুনের পরিবার হত্যার অভিযোগ তুলে বলে বিয়ের পর থেকে হারুনের স্ত্রী বৈশাখী হারুনের সঙ্গে খারাপ আচরণ করতো। বৈশাখী ঠিকমতো সংসার করতো না। অন্য ছেলের সঙ্গে তার পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। এ নিয়ে তাদের সংসারে অশান্তি লেগেই ছিল।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে হারুন তার শ্বশুর বাড়িতে ছোট শালিকা প্রিয়ার জন্মদিনের দাওয়াত খেতে যায়। সেখানে তার ভায়রা জুয়েলসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজনের সঙ্গে ঝগড়া হয়। রাত ৩টার দিকে শ্বশুর বাড়ির লোকজন হারুনের পরিবারকে তার মৃত্যুর সংবাদ দেন।
হারুনের পরিবারের অভিযোগ, হারুনকে তার ভায়রাসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পিটিয়ে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখে। হারুনের কপালে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানায় তারা। এ ঘটনায় তারা আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।
রায়পুরের হাজিমারা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মফিজুর রহমান বলেন, ঝুলন্ত অবস্থায় হারুনের মরদেহ তার শ্বশুর বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। স্ত্রী এবং শ্বশুর বাড়ির লোকজনের সঙ্গে হারুনের ঝগড়া হয়েছে। এর জের ধরে হয়তো সে আত্মহত্যা করতে পারে। মরদেহ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। পরিবারের পক্ষ থেকে এজাহার দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।