দীর্ঘ ১৭ বছর পর চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন সোমবার (১২ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে সম্মেলনের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন সিজেকেএস জিমনেসিয়াম চত্বরে বর্ণিল ব্যানার, পোস্টার আর ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে, উৎসবের ছোঁয়া লেগেছে সম্মেলনের আশপাশের এলাকায়।
এবারের সম্মেলনে প্রবীণ—নবীন অনেকেই পদ প্রত্যাশা করছেন। উপজেলা এবং পৌরসভা থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পর্যায়েও দলীয় পদপ্রত্যাশী নেতাদের হরেক রকম পোস্টার এখন চট্টগ্রামে স্টেডিয়াম এলাকায় শোভা পাচ্ছে। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ এমপি বলেন, ‘উৎসবমুখর পরিবেশে সম্মেলন এবং কাউন্সিল অনুষ্ঠানের সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। দীর্ঘদিন পর এই সম্মেলনকে ঘিরে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও সমর্থকেরা এখন দারুণ উচ্ছ্বসিত। পরবর্তী নেতৃত্বের বিষয়ে সম্মেলন থেকে নির্বাচনের মাধ্যমে জানানো হবে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের একটি নির্ভরশীল সূত্র জানায়, ‘এবার সভাপতি পদে দায়িত্ব আসতে পারে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ এমপি, মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী এমপি, সাবেক রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালামের মধ্যে যে কোনো একজনের ওপর। আর সাধারণ সম্পাদক পদের দায়িত্ব নিতে পারে মফিজুর রহমান, শাহজাদা মহিউদ্দিন, প্রদীপ দাশ অথবা প্রবীণ নেতা নুরুল আবছার চৌধুরীকে।’
সর্বশেষ বিগত ২০০৫ সালের ২৩ জুলাই নগরীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই সম্মেলনে মরহুম আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুকে সভাপতি এবং মোছলেম উদ্দিন আহমদকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি করা হয়। ২০১২ সালের ৪ নভেম্বর আখতারুজ্জামান বাবুর ইন্তেকালের পর পর ২০১৩ সালে মোছলেম উদ্দিন আহমদকে সভাপতি ও চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করে কেন্দ্র থেকে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়। দীর্ঘদিন সম্মেলন না হওয়ায় অনেক নেতা পদবঞ্চিত রয়েছেন। আর তাই সম্মেলন ও কাউন্সিলকে ঘিরে পদ প্রত্যাশীরা উচ্ছ্বসিত।
আজ সম্মেলন উদ্বোধন করার কথা রয়েছে আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি। সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।