‘ইটস টাইম ফর আফ্রিকা (সময়টা এবার আফ্রিকার)’—পর্তুগালকে মরক্কো হারানোর পর নিজের বিখ্যাত সেই গানটাকে এভাবেই মনে করিয়ে দিলেন পপ তারকা শাকিরা। হ্যাঁ সময়টা তো আফ্রিকারই বটে। প্রথমবারের মতো আফ্রিকার কোনো দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠল মরক্কো।
নতুন এই ইতিহাস গড়ার আনন্দে ভাসছে দেশটি। শুধু দোহা কিংবা মরক্কোর রাজধানী রাবাতেই নয়, মরক্কোর উৎসবের রং ছড়িয়ে পড়েছে ব্রাসেলসে-তিউনিসেও। বেলজিয়াম ও তিউনিসিয়ার মরক্কো ভক্তরাও উৎসবে মেতেছেন।
ইতিহাস গড়া জয়ের পর মরক্কোর খেলোয়াড়দের আনন্দ যেন বাঁধ মানছিল না। জয়ের প্রতিক্রিয়ায় মিডফিল্ডার সোফিয়ান বুফাল বলেছেন, ‘এটা আমাদের প্রাপ্য। আমরা কঠিন পরিশ্রম করেছি। এটা এখনো শেষ হয়নি। এখনো সেমিফাইনাল আছে এবং সৃষ্টিকর্তা চাইলে ফাইনালও।’
রূপকথার গল্প লেখা এই জয়টার অন্যতম রূপকার মরক্কোর কোচ ওয়ালিদ রেগরাগুই। তাঁকে আকাশে তুলেই উৎসব করেছেন খেলোয়াড়েরা। তিনি বলেছেন, ‘আমরা দুর্দান্ত পর্তুগালের বিপক্ষে খেলতে এসেছি। যা আছে তা নিয়ে আমরা চেষ্টা করেছি, আমাদের চোটে পড়া খেলোয়াড়ও আছে। আমি খেলার আগে ছেলেদের বলেছি, আফ্রিকার জন্য আমাদের ইতিহাস গড়তে হবে। আমি খুবই খুবই আনন্দিত।
ফুটবল বিশেষজ্ঞরাও মরক্কোর এই জয়কে দেখছেন বিশেষভাবে। এই জয়কে ঐতিহাসিক উল্লেখ করে সাবেক স্কটিশ উইঙ্গার প্যাট নাভিন বলেছেন, ‘এটা ঐতিহাসিক, একবারেই অপ্রত্যাশিত। ভুলে গেলে চলবে না, ওরা সুন্দর ফুটবলও খেলেছে। হ্যাঁ, ওরা রক্ষণাত্মক ছিল। তবে ওদের সামর্থ্যের কথাও বলতে হবে। ওরা যখন সুন্দর ফুটবল খেলেছে, সেটা মিডফিল্ড থেকে শুরু হয়েছে।’