দিঘিনালা প্রতিনিধি :
দীঘিনালায় ১০৭ কেজি মাছের শুল্ক দিয়ে ২২২ কেজি মাছ মোটরসাইকেল যোগে পাচারকালে ড্রাম ভর্তি মাছগুলো জব্দ করে নিলামে বিক্রি করেছে মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি)’র জামতলী শুল্ক নিরীক্ষণ চেকপোস্ট।
শুক্রবার ভোরে গোপন সংবাদ পেয়ে উপজেলার দীঘিনালা-লংগদু সড়কের মধ্য বোয়ালখালী পশ্চিম পাড়া এলাকায় মাছ পরিবহনে নিয়জিত মোটরসাইকেল ও চালকসহ এ মাছগুলো জব্দ করে মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি)’র জামতলী শুল্ক নিরীক্ষণ চেকপোস্টের নাবিক মো. আনসার আলী ও গার্ড মো. জসিম উদ্দিন।
এ সময় শুল্ক রশিদে উল্লেখিত ১০৭ কেজি মাছের স্থলে ২২২ কেজি মাছ পাওয়ায় মাছগুলো জব্দ করে নিলামে তুলেন তারা। নিলামে স্থানীয়দের সামনে ২২২ কেজি মাছ ৫ হাজার ২০০ টাকায় ক্রয় করে স্থানীয় বাসিন্দা মো. আকতার হোসেন। এছাড়াও মোটরসাইকেল ও চালকদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
মাছ পরিবহনে নিয়জিত মোটরসাইকেল চালক মো. তুহিন ও তারেক জানান, এ মাছগুলোর মূল ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদিন ও মানিক মিয়া। তারা দুজনেই রাঙামাটির লংগদু উপজেলার বাসিন্দা।
তুহিন ও তারেক ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলে মাছ পরিবহন করেন মাত্র। এর বাইরে তেমন কিছু জানেননা তারা।
জামতলী শুল্ক নিরীক্ষণ চেকপোস্টের নাবিক মো. আনসার আলী বলেন, শুল্ক না দিয়ে কোন ব্যবসায়ী মাছ পাচার করতে পারবেনা। আমাদের এমন অভিযান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের রাঙামাটি জেলা ব্যবস্থাপক লে. কমান্ডার এম. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, যারা শুল্ক ফাঁকি দিবে, তাদের সব মাছ বাজেয়াপ্ত করা হবে। এছাড়া অসাধু মাছ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে বিশেষ নজরদাঁড়ি রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।