আরিফুল ইসলাম;লামা(বান্দরবান) প্রতিনিধিঃ
রাত পোহালেই বান্দরবানের লামা পৌরসভার ৪র্থ সাধারণ নির্বাচন। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতে ইতিমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় ও প্রশাসন। ভোটারদের নিরাপত্তা ও ভোটকেন্দ্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, র্যাব, বিজিবি, পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি।
লামা পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় সূত্র জানায়, ২৮.৪৯ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের লামা পৌর এলাকার মোট ভোটার সংখ্যা ১৩ হাজার ৩৮৯ জন। তার মধ্যে পুরুষ ৭ হাজার ৩ জন এবং মহিলা ভোটার ৬ হাজার ৩৮৬ জন। এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে ৩ জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৯ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৯টি ভোটকেন্দ্রের ৩৯টি ভোটকক্ষে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এসকল ভোটকেন্দ্রে ৯ জন প্রিজাইডিং, ৩৯ জন সহকারী প্রিজাইডিং এবং ৭৮ জন পোলিং অফিসার ভোটগ্রহণের দায়িত্ব পালন করবেন।
লামা পৌরসভা নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও লামা উপজেলা নির্বাচন অফিসার আলমগীর হোসাইন জানান, ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট প্রদান করতে পারেস সে জন্য ভোটারদের নিরাপত্তা ও ভোটকেন্দ্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য র্যাবের ৩টি স্ট্রাইকিং ফোর্স, দুই প্লাটুন বিজিবি, পুলিশের মোবাইল টিম, প্রতি কেন্দ্রে অফিসারসহ ৮ জন পুলিশ সদস্য এবং ৫ জন পুরুষ ও ৩ জন নারী আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।
এদিকে, আসন্ন এ নির্বাচনে মেয়র পদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মো. জহিরুল ইসলাম, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মো. শাহীন এবং জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী এ.টি.এম শহীদুল ইসলাম, লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সাধারণ ভোটার ও স্থানীয় জনমত যাচাইকালে জানা গেছে ,প্রধান দু’দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হলেও স্পষ্ট ব্যবধানে এগিয়ে আছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. জহিরুল ইসলাম। এছাড়া সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে বিভিন্ন ওয়ার্ডে দ্বিমুখী ও ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
নির্বাচনের প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শেষ করে কেন্দ্র ভিত্তিক নির্বাচনী এজেন্ট নিয়োগসহ আনুসাঙ্গিক কার্যক্রম নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লেও সাধারণ ভোটাররা আগামী পাঁচ বছরের জন্য লামা পৌরসভার উন্নয়নের দায়িত্ব কাদের হাতে তুলে দেবেন সে বিষয়ে শেষ মুহূর্তের হিসাব কষছেন।