মো. রবিউল হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার:- দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস প্রজনন ক্ষেত্র ‘বঙ্গবন্ধু হেরিটেজ’ খ্যাত হালদা নদীর উজান খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার গোরখানা, ছদুরখীল, তুলাবিল, আাছাদতলী, কালাপানি ও যোগ্যাছোলায় হালদা ও তার উপ-শাখায় প্রায় অর্ধশতাধিক স্থানে শ্যালো মেশিনের সাহায্যে অবৈধভাবে উত্তোলন করা হচ্ছে শত শত ট্রাক বালু। এতে হালদার দু-পাড়ের প্রায় ১৫ কিলোমিটার জায়গা ভেঙ্গে ক্ষত-বিক্ষত হয়ে পড়েছে। নদীতে বিলীন হচ্ছে ফসিল জমি। দীর্ঘ কয়েক বছর যাবৎ প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বিরামহীনভাবে চালিয়ে আসছে এই ধ্বংসযজ্ঞ। তাদের দৌরাত্ব ঠেকাতে বিভিন্ন সময় ভ্রাম্যমান আদালতে জেল-জরিমানা করে আসছে স্থানীয় প্রশাসন।
এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার (২১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার বাটনাতলী ইউনিয়নের ছদুরখীল ও যোগ্যাছোলা ইউনিয়নের খাড়িছড়া চাকমাপাড়া এলাকায় উত্তোলনকৃত বালু মহালে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে দুইজনকে জেল-জরিমানা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রক্তিম চৌধুরী। এসময় উত্তোলনকৃত বালু জব্দ করা হয়।
অভিযানে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপন আইন ২০১০ এর ১১ ধারায় অপরাধ ১৫(১) ধারায় খাড়িছড়া চাকমাপাড়ায় বালু উত্তোলনের দায়ে ছদুরখীলের বাসিন্দা মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে মো. সুমন মিয়া (৩৬)কে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ছুদুরখীলে বালু উত্তোলের দায়ে সাপমারা এলাকার বাসিন্দা মনু মিয়ার ছেলে মো. শহীদুল ইসলাম (৩৬)কে ১ লক্ষ টাকার জরিমানা করা হয়।
এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রক্তিম চৌধুরী বলেন, উপজেলায় ৩ টি বালু মহাল ইজারা থাকা স্বত্ত্বেও কতিপয় ব্যক্তিরা বঙ্গবন্ধু হেরিটেজ হালদা নদীতে বেআইনিভাবে বালু উত্তোলন করার অপরাধে জরিমানা ও কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। এ ধরণের কাজে যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে।