নানিয়ারচর(রাঙ্গামাটি)প্রতিনিধি:
পাঁচটা দিনের মতো গতানুগতিক স্কুলে আসা আর বাড়ি ফেরা নয়।আজ শিক্ষক -ছাত্র ও ছাত্রীদের রোজকার গতানুগতিক পড়াশোনা নয়।আজ পড়াশোনাকে পাশ কাটিয়ে চড়ুইভাতির অনাবিল আনন্দে মেতে উঠলো ছোটো ছোটো কচিকাচারা।রাঙ্গামাটি জেলার নানিয়ারচর উপজেলার বুড়িঘাট পূনর্বাসন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা।
সমস্ত গতানুগতিকতা, নিয়মানুবর্তীতা বা প্রতিবন্ধকতাকে দূরে সরিয়ে কাপ্তাই লেকের বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ মাজারের রউফ টিলার নদীর তীরে মেতে উঠলো বনভোজনে।ছাত্র ছাত্রীরাও সমস্ত জড়তা সরিয়ে রেখে প্রিয় শিক্ষক ও ম্যাডামের সাথে বন্ধু সুলভ আচরণে মজার আড্ডায় মেতে উঠেছেন।
সব মিলিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলো থেকে হারিয়ে যাওয়া বনভোজনের পুরোনো স্বাদ আর হারিয়ে যাওয়া পুরানো দিনের খেলা আবার ফিরে পেলো বাচ্চারা।উল্লেখনীয় বিষয় হল এই পুরানো দিনের খেলা গুলিকেই বাচ্চাদের মধ্যে ফিরিয়ে আনতে শিক্ষকদের আজকের এই আয়োজন।
দিনভর খেলা ধুলার সাথে খাওয়া দাওয়া।রোজকার মিড ডে মিলের বাইরে গিয়ে মেনুরও ঘটেছিল আমূল পরিবর্তন।ভাত,মাংস, সব কিছুর আয়োজন করা হয়েছিল।একদিনের জন্য নদীর ধারের এবং খোলা আকাশ হয়ে উঠেছিলো বাচ্চাদের পাঠশালা।প্রাসঙ্গিক ভাবে মনে পড়ে গেলো সুনির্মল বসুর ” সবার আমি ছাত্র ” কবিতাটি ও তার কয়েকটি লাইন।যেমন…..
“নদীর কাছে শিক্ষা পেলাম,আপন বেগে চলতে” বা
“আকাশ আমায় শিক্ষা দিল,উদার হতে ভাই রে,” বা
“বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর,সবার আমি ছাত্র” ইত্যাদি লাইন গুলি।
রোজকার একঘেয়ে দিন গুলো থেকে আলাদা আয়োজনে সাধুবাদ জানিয়েছে গ্রামবাসীরা।তবে এই সুন্দর উদ্যোগের পিছনে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও অত্র এলাকার ছেলে কল্লোল মজুমদার তার ইউনিক ছোট ছোট কাজগুলো সবার মুখে মুখে প্রশংসা পাচ্ছে।
উল্লেখ্য এই আয়োজনে অত্র বিদ্যালয়ের সভাপতি মো: কবির হোসেন, ও সহকারী শিক্ষক তৌহিদুল ইসলাম,আশ্রাফুল ইসলাম,রাজিয়া ভূইয়া,বর্নী সহযোগিতা করেছেন।
অন্যদিকে বনভোজনের এই আয়োজনে নানিয়ারচর উপজেলা শিক্ষা বিভাগের ইনেসক্টেটর সরওয়ার কামাল ধন্যবাদ জানিয়েছেন।