নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধিঃ
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের আমতলী মাঠে মহিউচ্ছুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসার দপ্তরী দিদারুল আলম কে দায়ের কোপে খুন করেছে দুর্বৃত্তরা।
মঙ্গলবার(৮নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে আমতলী মাঠের শাহা আলম ও আবু তাহেরের বাড়ির মাঝখানে রাস্তার উপর দা দিয়ে কোপানো অবস্থায় তার মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে প্রথমে চেয়ারম্যান, পরে থানা পুলিশ কে খবর দেয় স্হানীয়রা।
তবে এই হত্যাকাণ্ডের কোন কারণ এবং কারা হত্যা করেছে কোন বিষয় এখনো জানা না গেলেও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্হানীয় একটি সুত্রে জানান, একই মাদ্রাসার ছাত্র ছৈয়দুল আমিন, রেজাউল করিমের, সাথে নারী ঘটিত একটি ঘটনা, দিদারুল আলম জানতো। যাহা মাদ্রাসায় একাধিক বার বৈঠক হয়েছে।
নিহতের স্ত্রী খালেদা বেগম জানান,তার স্বামী দিদার মাগরিবের আগে বাচ্চাদে জন্য নাস্তা আনবে বলে বাড়ি থেকে দোকানে যায় এবং এশার নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার পথে থাকে দুর্বৃত্তরা আমার স্বামীকে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
নিহত দিদারুল আলম স্থানীয় ব্যবসায়ী মোঃ ইসলামের পুত্র, তার স্ত্রী খালেদা বেগম ছাড়াও ৪ বৎসরের তাসপিয়া নামের একটি মেয়ে ও আড়াই বৎসরের খায়রুল আমিন নামের একটি ছেলে রয়েছে।
এই রহস্যজনক মৃত্যুর বিষয়টি প্রাথমিক নিশ্চিত করেছেন নাইক্ষংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন।
জানা যায়,নাইক্ষ্যংছড়ির থানার পুলিশ ঘটনা স্থানে পৌঁছে রাত ২ টায় লাশ উদ্ধার করে। ৯ নভেম্বর সকালে ময়না তদন্তের জন্য বান্দরবান পাঠান। অপর দিকে সকাল সাড়ে ১০ টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ আনোয়ার হোসেন।
এ বিষয়ে মহিউচুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, ছাত্রদের বিষয়টি মাদ্রাসায় সমাধান হয়েছে। আর দিদারুল আলম একজন শান্ত ও ভদ্র ছেলে। সে মাদ্রাসায় যোগদানের পর থেকে মাদ্রাসার সকলের সাথে মিলেমিশে কাজ করে আসছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহাজাহান বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের পর, লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন। তবে অপরাধী যে-ই হোক তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এই নিউজ লেখা পর্যন্ত মোহাম্মদ হোছনের ছেলে ছৈয়দুল আমিন কে আটক করেছে পুলিশ।