মুহাম্মদ তৈয়্যবুল ইসলাম, রাঙ্গুনিয়া(চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি ।
ফেরিওয়া মো. আনিসুর রহমান গত রোববার (১০জানুয়ারি)রাঙ্গুনিয়া রানীরহাট বাজারে সকালে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে মানুষের কাছে কসমিটিক বিক্রি করতে করতে যোহরের আজান দেয় মসজিদে। সেই রানীর হাটের পুরাতন হাছান মুরাদ জামে সমজিদে তার জিনিসপত্র একপাশে রেখে যোহরের নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে দেখতে পেল রাত মালামাল চুরি হয়ে যায়। তার দুচোখ দিয়ে পানি পড়ছে আর কেঁদে কেঁদে বলছে আমি শেষ হয়ে গেছি, আমার সব মালামাল চুরি হয়ে গেছে। মসজিদের পাশে থাকায় রাজানগর ইউনিয়ন আ.লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক সমীরণ দত্ত তার কান্না দেখে কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করে ঘটনা কিভাবে ঘটল। সমীরণ দত্তকে সব ঘটনা খুলে বলব ফেরিওয়ালা আনিস, তার সাধ্য মতো তাকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করলেন। তিনি রানীর হাট বাজারের দায়িত্বে থাকা রাজানগর রানীর হাট জ্বালালি কাঠ ও জ্বালানকাঠ সমিতি সভাপতি কালাল উদ্দিন চৌধুরী ও রানীর হাট বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সহ-সভাপতি আরিফুর হক চৌধুরী সোহেল’কে ফোনে বিস্তারিত জানান। কামাল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সমীরণ দত্ত বিষয়টি আমাকে আবগত করলে আমি, সমীরণ দত্ত এবং আরিফুর হক চৌধুরী সোহেল-সহ বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির নেতৃবৃন্দদের নিয়ে বাজারের বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাজ থেকে দশ হাজার দুই টাকা তুলে ফেরিওয়ালা আনিসুর রহমানের হাতে দিলে ফেরিওয়ালার মুখে হাসি ফোটে। ফেরিওয়ালা আনিস মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর বিনতপুর গ্রামের বাসিন্দা তিনি দীর্ঘদিন রাউজান গহিরা বড় মাদ্রাসার পাশে ওবাইদুল নামের এক বাড়িওয়ার কাজে বাসা ভাড়া থাকেন, সেই সকালে কসমিটিক বিক্রি করতে রাণীর হাটে আসেন বলে জানান।