লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
লক্ষ্মীপুর সদরের চররুহিতায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ চার ডাকাতকে আটক করেছে পুলিশ। রবিবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৩ টার দিকে তাদের আটক করা হয়। এর আগে ঐ ইউনিয়নের চরমন্ডল এলাকায় ডাকতা দল ডাকাতি করে নগদ টাকা ও বাসায় থাকা স্বর্ণালংকারসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যায়। পরবর্তী ভুক্তভোগীরা জরুরী সেবা ৯৯৯ নাম্বারে কল করে ডাকাতির ঘটনা জানা। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পায়।
পুলিশ তত্থের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে প্রথমে ডাকাত মিয়াদ হোসেন রাব্বীকে আটক করে। এসময় তার নিকট থেকে একটি এন্ড্রয়েট মোবাইল করে। ডাকাত মিয়াদকে জিজ্ঞাসাবাদে অভিযান চালিয়ে একাধিক হত্যা মামলার আসামী ডাকাত আজাদ ওরফে চশমা আজাদকে আটক করা হয়। এসময় তার নিকট থেকে সাড়ে ৫ ভরি স্বর্ন উদ্ধার করা হয়। একইসাথে তাদের তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বাকী ডাকাত টুটুল ও ডাকাত আলমকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশ সুপার মাহাফুজ্জামান আশরাফ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নিশ্চিত করে জানায়, রাত আনুমানিক ৩ টার দিকে চররুহিতা ইউনিয়নের চরমন্ডল এলাকার রানীরহাট গ্রামের আব্দুল কাদের পাটওয়ারী বাড়ীতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। জরুরী সেবা ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করে এমন সংবাদ জানান ঐ বাড়ীর মালিক আব্দুল কাদের। খবর পেয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদে সত্যতা মিলিছে। পরবর্তীতে অভিযান চালিয়ে ৪ ডকাতকে আটক করা হয়েছে। এবং তাদের নিকট থেকে লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। একইসাথে তাদের ব্যবহারিত বেশ কিছু ডাকাতি সরঞ্জাম ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত মালামালের মধ্যে রয়েছে, দুটি লোহার কোরাবারী, একটি ছেনি, একটি সেলাই রেঞ্জ, একটি চাপাতি, একটি চাইনজ কুড়াল, একটি চোরা ও একটি স্কু ড্রাইভার।
ডাকাত মিয়াদ হোসেন রিয়াদ একই ইউনিয়নের চরমন্ডল এলাকার ওমর ফারুকের ছেলে, আজাদ পশ্চিম লক্ষ্মীপুর এলাকার লুৎফুর রহমানের ছেলে, টুটুল ঐ এলাকার সুজা মিয়ার ছেলে ও আলম রায়পুর উপজেলার কেরোয়ার গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে।
সদর থানা উপ-পরিদর্শক মোঃ কাউছার হোসেন জানান, আটকৃতদের বিরুদ্ধে সদর থানায় হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তাদেরকে আদালতের মাধ্যে আগামীকাল কারাগারে পাঠনো হবে।