সরওয়ার কামাল, মহেশখালীঃ
মহেশখালী উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের জাগিরাঘোনা এলাকায় গরুর ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত মহেশখালী কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র মোঃ আরাফাত উদ্দিনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানাযায় গত ২৫ই সেপ্টেম্বর সকালে বড় মহেশখালী জাগিরাঘোনাস্থ আলমগীর ফরিদ টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের পাশে মধুয়ার ডেইল এলাকার মৃত শহর মুল্লুকের ছেলে ছালাম মিয়ার কয়েকটি গরু আবুল কাছিমের চাষ করা ধান ক্ষেত খায়। দুপুরে পূণরায় কয়েকটি গরু উক্ত ধান ক্ষেত খেতে দেখলে আবুল কাছিমের সন্তানেরা গরু গুলো তাড়িয়ে দেয়। একটি গরু বেঁধে রাখলে এসময় ছালাম মিয়ার স্ত্রী রহিমা এসে আবুল কাছিমের দুই শিশু সন্তানকে জুতা পেটা করে। পরে এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হলে স্থানীয় লোকজন এসে তা মীমাংসা করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। ঐ দিন রাত ৯ টায় ছালাম মিয়া আবুল কাছিমকে পথিমধ্যে পেয়ে তাকে মারধর করলে এসময় তাকে রক্ষা করতে আসেন তার ভাতিজা মহেশখালী কলেজের অনার্স ১ম বর্ষের ছাত্র মোঃ আরাফাত উদ্দিন। এ সময় আরাফাতকেও তারা প্রচন্ড রকম মারধর করে। আরাফাত মারাত্মক জখম প্রাপ্ত হয়। স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে আরাফাতকে উদ্ধার করে মহেশখালী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক তার অবস্থা সংকটাপন্ন দেখলে তাকে দ্রুত কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করেন। ওখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকও তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে রেফার করলে চট্টগ্রামের ট্রিটমেন হাসপাতালের আইসিওতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৭ই সেপ্টেম্বর বিকাল ২ টা ৪০ মিনিটে সে মৃত্যুবরণ করেন। ২৮ই সেপ্টেম্বর সকালে জাগিরাঘোনায় জানাজার নামাজ শেষে তাকে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে জানান আরাফাতের পরিবার। এদিকে ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে আরাফাতকে হামলাকারী ছালাম মিয়াকে প্রধান আসামী করে মহেশখালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন আরাফাতের মা কহিনুর আক্তার। আরাফাত বড় মহেশখালী ইউনিয়নের জাগিরাঘোনা এলাকার মোঃ জালালের পুত্র এবং বড় মহেশখালী ৭নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি বলে জানাগেছে । এব্যাপারে মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ প্রনব কুমার চৌধুরী বলেন, আরাফাতের মৃত্যুর খবর শুনেছি। এ বিষয়ে থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।