মো. রবিউল হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার:- পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট-ইউপিডিএফের (প্রসীত-গ্রæফ) কালেক্টর হত্যার প্রতিবাদে খাগড়াছড়ির পাঁচ উপজেলায় সংগঠনটির ডাকা আধাবেলা সড়ক অবরোধ শেষ হয়েছে।
রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) জেলার গুইমারা, মাটিরাঙ্গা, রামগড়, মানিকছড়ি ও লক্ষীছড়ি উপজেলায় সকাল ৬ টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলে এ অবরোধ। এ সময় চলাচল করেনি কোন ধরণের যানবাহন। অভ্যন্তরীন সড়ক ছাড়াও ছয় ঘন্টা বন্ধ ছিলো খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম ও খাগড়াছড়ি-ফেনী-ঢাকা সড়কের সকল পন্য ও যাত্রীবাহি পরিবহন।
এর আগে ভোরে মাটিরাঙ্গা ও রামগড়ে বিচ্ছিন্নভাবে পিকেটিং করেছে ইউপিডিএফ কর্মীরা। বাইল্যাছড়িতে সড়কের উপর ইট ফেলে আগুন দেয়ার চেষ্টা করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পালিয়ে যায় পিকেটাররা। রামগড়ের যৌথ খামার এলাকায় রামগড়-জালিয়াপাড়া সড়কের উপর ইট ও গাছের গুড়ি ফেলে পেট্রোল দিয়ে আগুন দেয় অবরোধকারীরা।
অবরোধে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে উপজেলাগুলোর বিভিন্ন স্থানে পুলিশি তৎপরতা জোরালো ছিলো। পুলিশের পাশাপাশি টহলে ছিলো আইন-শৃংখলাবাহিনীর সদস্যরা। পুলিশ পাহারায় গন্তব্যে পৌঁছে দেয়া হয়েছে পর্যটকসহ জরুরী প্রয়োজনে বের হওয়া যানবাহনগুলোকে।
পুলিশ জানায়, বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন ছাড়াও টহলে ছিলো পুলিশের সদস্যরা। সতর্ক অবস্থানে থাকায় কোনধরনের সহিংসতা ঘটাতে পারেনি অবরোধকারীরা।
এদিকে, অবরোধ বিরোধী ও পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ-জেএসএসসহ শাখা সংগঠনগুলোর সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বন্ধে মানিকছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল ও পথ সভা করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ। সকালে সংগঠনটির মানিকছড়ি গিরি মৈত্রী ডিগ্রী কলেজ শাখার উদ্দ্যোগে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিলটি মানিকছড়ি কলেজ থেকে বের হয়ে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কে আমতল মোড়ে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষ হয়।
গত শুক্রবার সকাল পৌনে ১০টার সময় গুইমারা উপজেলার দেওয়ান পাড়া এলাকার মিশন টিলা থেকে অংথোয়াই মারমা ওরফে আগুনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় পুলিশ। এ ঘটনায় প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীদের দায়ী করে নিহত আগুনকে নিজেদের নেতা দাবি করেন প্রসীত বিকাশ খীসা নেতৃত্বাধীন আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ।