লামা প্রতিনিধি;(বান্দরবান):
১৬ জানুয়ারী লামা পৌরসভার নির্বাচন উপলক্ষে জমে উঠেছে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা। কাক ডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত প্রার্থীরা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন।
জানা গেছে, লামা পৌরসভায় আঃলীগ ও বিএনপি সমর্থিত দুই মেয়র প্রার্থী ছাড়াও জাতীয় পার্টির মনোনিত এক প্রার্থী সহ তিন জন। পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে রয়েছে ৩ মেয়র প্রার্থী সহ ৩৬ পুরুষ,মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী,তারা প্রচার-প্রচারণায় চূড়ান্ত সরব। নির্বাচনকে সামনে রেখে এখানে নতুনরা ডাক দিচ্ছেন পরিবর্তনের। আর পুরনোরা বাকি থাকা কাজ শেষ করার অঙ্গীকার করে ভোট চাইছেন। পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে লামা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ছাড়াও বিভিন্ন অলিগলি।
ভোটাররা বলছেন, যোগ্যতা, দক্ষতা এবং সততার ওপর ভিত্তি করেই তারা সিদ্ধান্ত নেবেন কাকে ভোট দেবেন। তবে বিএনপির মনোনিত প্রার্থী মো.শাহিন জানান,ভোট কি সুষ্ঠু হবে?আমরা অবাধ সুষ্ঠ নির্বাচন চাই, এদিকে মেয়র পদে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস দিচ্ছেন তারা।সব প্রার্থীই ভোটারদের নানা উন্নয়নমুখী প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট নেওয়ার চেষ্টা করছেন।
বর্তমান মেয়র জহিরুল ইসলাম বলেন, আমি তৃতীয় শ্রেণির পৌরসভাকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করেছি, নাগরিকদের সব রকম সুযোগ-সুবিধা দিয়ে সবুজ বাসযোগ্য পৌরসভায় রূপান্তরিত করেছি। এজন্য আমাকে আবার মেয়র নির্বাচিত করবেন ভোটারা।তিনি দাবি করেন, উন্নয়ন যা হয়েছে আ. লীগ সরকার করেছে।দ্বিতীয় শ্রেণির পৌরসভা হিসেবে নাগরিকদের যেসব সুবিধা দেওয়ার প্রয়োজন তার সব কিছুই করেছি। তিনি বলেন, আমাকে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী করেছেন, জনগণ আমাকেই বেছে নেবে।
বান্দরবান জেলার নির্বাচন কর্মকর্তা ও রির্টানিং অফিসার মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান এ পৌরসভায় ভোটার রয়েছেন ১৩হাজার৩৮৯ জন।পৌরসভায় ৯টি ওয়ার্ডে মোট ৯টি কেন্দ্রে ৩৯ বুথে ভোটগ্রহণ হবে। এসব কেন্দ্রে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে পর্যাপ্ত পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি ও র্যাব বাহিনী সহ নিরাপত্তার ব্যবস্থা জোরদার করা হবে।
তারমধ্যে ২নং ওয়ার্ড এবং ৪নং ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মোহাম্মদ হোসেন বাদশা ও মো.রফিক নির্বাচিত হয়েছেন দুই কাউন্সিলর প্রার্থী।