নিজস্ব প্রতিনিধি; নাইক্ষ্যংছড়িঃ
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার পার্শ্ববর্তী রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন শত বৎসর আগের গর্জনিয়া বাজার ও আশপাশের প্রায় ২ কিলোমিটার এলাকায় মানুষের পানির চাহিদা মিটানো এই পাট কূপটি সংস্কারের অভাবে অকেজো হয়ে পড়ে আছে ১০২ বৎসর ধরে। যাহা ১৯২০ সালে নির্মীত পাতকূঁয়াটি সংস্কার করে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছে এলকার জনগন।
গত ১৯৯৬ সালে বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর জেলা পরিষদ সংস্কার করে বাউন্ডারি ও ছাউনির ব্যবস্হা করা হয়। এতে এলাকার মানুষ সুমিষ্ট পানি পান করার জন্য নিয়ে যেতেন এই কূপের পানি।বর্তমানে এলাকায় নলকূপের সুবিধা থাকার কারনে উক্ত পাট কূঁয়াটি অব্যবহার ও অযত্নের কারনে অবহেলিত অবস্হায় পড়ে আছে। যে সময় নলকূপ ছিলোনা সে সময় মিয়াঁজী পরিবার, গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ী,গর্জনিয়া ডাক বাংলোতে থাকা তৎকালীন বিডিআর সেনা সদস্যরা ঐ পাট কূঁয়ার পানি দিয়ে যাবতীয় পানির চাহিদা মিটাতেন।
বর্তমানে ঐ পাট কূপের পানির প্রয়োজন না হলেও শত বছরের ঐতিহাসিক সুর্কি ইট দিয়ে গড়া শত ফুটের অধিক গভীর কূপটির সংস্কার পূর্বক সংরক্ষনের ব্যবস্হা নিতে জেলা পরিষদ প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছেন স্হানীয় জনগণ।
৫নং এই ওয়ার্ডের ২ বার নির্বাচিত মেম্বার আবু আয়ূব আনছারী বলেন, আমার বাপ দাদার আমলে শুনেছি গর্জনিয়া বাজার সহ আশপাশের গ্রাম মিয়াঁজি পাড়া, তিতার পাড়া, ফাক্রিরকাটা, চাকমার কাটা সহ প্রায় ২ কিলোমিটার এলাকার মানুষের পানির চাহিদা মিটানো এই পাট কূপটি সংস্কার হলে, পানির চাহিদার পাশাপাশি কক্সবাজার জেলায় একটি দর্শনীয় স্থান হিসাবে পরিচিত পাবে।