বেঞ্চের শক্তি পরীক্ষা করবেন তামিম ইকবাল। অন্যদিকে দলের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো জানিয়েছেন, চাইলেও হয়ত একাদশে বড় পরিবর্তন সম্ভব হবে না।
অধিনায়ক ও হেড কোচের সিদ্ধান্তের মধ্যে কিছুটা ফারাক রয়েছে। আবার ১৩ বছর পর হোয়াটওয়াশের সুযোগ। সব মিলিয়ে আজ শনিবার তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে কি হবে তা নিয়ে খানিকটা ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে।
সিরিজ জয় নিশ্চিত হওয়ার পর গায়ানায় শেষ ওয়ানডেতে মাঠে নামার আগে শুক্রবার টিম হোটলে সংবাদমাধ্যমকে ডমিঙ্গো বলছিলেন, ‘কন্ডিশন অনুযায়ী ভারসাম্যপূর্ণ দল সাজাতে হবে। যেসব পরিবর্তন ভাবছি, সব হয়ত সম্ভব হবে না।’
কারণ ব্যাখ্যায় ডমিঙ্গো বলেন, ‘আমি বিজয়কে খেলাতে চাই। কিন্তু সে ডানহাতি। ওদের বোলিং লাইনআপের বিপক্ষে আমাদের প্রয়োজন বাঁহাতি। ওয়ানডেতে অনেক দিন সে কোনো ম্যাচ খেলেনি। কিন্তু সে ডানহাতি। আমি চাই যত বেশি সম্ভব বাঁহাতি থাকুক। তাই এখনো নিশ্চিত না। পিচ দেখে মনে হচ্ছে বাড়তি স্পিনার খেলানো ভালো। তাই নতুন ফাস্ট বোলার কাউকে সুযোগ দেওয়া কঠিন। তাই হয়ত একজন স্পিনার আনা হবে।’
অথচ ঘরোয়া ক্রিকেটে রানের ফুলঝুরি সাজিয়ে এক মৌসুমে রেকর্ড হাজার রানের গণ্ডি পার করে দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফিরেছেন এনামুল হক বিজয়। ডানহাতি পেসার তাসকিন আহমেদও আছেন সেরা ছন্দে। অথচ উইন্ডিজে ওয়ানডে সিরিজে উপেক্ষিত থাকতে হচ্ছে দুইজনকেই। তবে ডমিঙ্গো জানালেন, এক্ষেত্রে যারা দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় দলের সঙ্গী, তাদেরকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
ডমিঙ্গোর ভাষায়, ‘বিজয় ডিপিএলে (ঢাকা লিগ) দুর্দান্ত খেলেছে। সে স্কোয়াডেও জায়গা করে নিয়েছে। তবে কোচ হিসেবে আমি সৎ থাকতে চাই। আগে থেকে যারা আছে তারা আগে একাদশে সুযোগ পাওয়ার দাবীদার। যারা পরে এসেছে তাদের অপেক্ষা করতে হবে। ইয়াসির রাব্বি দলের সাথে অনেক দিন ছিল। এরপর সে একাদশে সুযোগ পেয়েছে, এখন একাদশের ভাবনায় সে আছে।’
তাসকিনকে অবশ্য দুর্ভাগা ভাবছেন ডমিঙ্গো, ‘তাসকিন একটু দুর্ভাগা, কন্ডিশনের কারণে। আমরা এখন দুজন বাঁহাতি পেসার খেলাচ্ছি। ডানহাতি পেসারের চেয়ে এক্ষেত্রে ওরা বেশি কার্যকরী। এই ফরম্যাটে তাসকিন দুর্দান্ত। কন্ডিশনের কারণে দুর্ভাগ্য বরণ করতে হচ্ছে।’